সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আইনে সহিংস কনটেন্ট সরাতে ব্যর্থ কোম্পানির জেল-জরিমানা


প্রকাশিত:
২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:০৭

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:০৯

অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আইনে সহিংস কনটেন্ট সরাতে ব্যর্থ কোম্পানির জেল-জরিমানা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংস ভিডিও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে অত্যন্ত কঠোর ও বিতর্কিত একটি আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ আইন অনুযায়ী, দায়ী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে মোটা অংকের অর্থদণ্ডের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কর্মকর্তার জেল পর্যন্ত হতে পারে। খবর রয়টার্স।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নতুন আইনটি পাস হয়। বিরোধী লেবার পার্টি আইনটিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করলেও উত্থাপিত বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের পর আইনটি পর্যালোচনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।

বলা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতার কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াই প্রথম এমন কঠোর আইন প্রণয়ন করল। আইন অনুযায়ী, সহিংসতার ভিডিও ‘ত্বরিত’ সরিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে তার বৈশ্বিক বার্ষিক টার্নওভারের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কনটেন্ট সেবার সঙ্গে জড়িত নির্বাহী কর্মকর্তাদের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় অর্ধশত মুসল্লি নিহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন কঠোর আইন প্রণয়ন করল অস্ট্রেলিয়া। আটক বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বলে জানা গেছে।

বন্দুকধারী সে হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করে। ফাইল শেয়ারিং সাইট এইটচ্যানের মাধ্যমে ভিডিওটি ১৫ লাখ কপি হয়। ভিডিও মুছে ফেলতে লম্বা সময় নেয়ায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনসহ অনেকেই ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন।

নতুন আইন অনুযায়ী ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলের মতো কোম্পানিগুলো সন্ত্রাসী হামলা, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন ও অপহরণের মতো ঘটনাকে সহিংস ভিডিও হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার বলেন, সম্ভবত বিশ্বে এটাই প্রথম কোনো কঠোর পদক্ষেপ। আমরা দেখেছি, এসব ক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট দায়দায়িত্ব নিতে চায় না।

গত সপ্তাহে বিলটি প্রস্তাবের আগে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সামাজিক যোগাযোগ কোম্পানিগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে বসেছিলেন। নির্বাহীরা শুরু থেকেই এ আইনের সমালোচনা করে আসছেন।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে গত সপ্তাহেই সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট লাইভ স্ট্রিমিং সার্ভিসে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

সমালোচকরা বলছেন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও পর্যালোচনা ছাড়াই অস্ট্রেলিয়া সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে। আইনজ্ঞরা বলছেন, নতুন আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top