তিন চোখওয়ালা অজগরের দেখা মিলল অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায়


প্রকাশিত:
৩ মে ২০১৯ ০৫:৪৯

আপডেট:
৭ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১২

তিন চোখওয়ালা অজগরের দেখা মিলল অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায়

নর্দার্ন টেরিটরি পার্কস এ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এই 'আবিষ্কার'কে অনলাইনে অদ্ভূত বলে বর্ণনা করে।



 

উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় একটি মহাসড়কের ওপর তিনটি চোখওয়ালা একটি সাপ পাওয়া গেছে। সেখানকার বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা অনলাইনে ছবিটি শেয়ার করেছেন।



বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাচ্চা অজগর সাপটির মাথায় তিনটি চোখ ছিল, এবং প্রাকৃতিকভাবেই কোষ-বিভাজনের মাধ্যমে তৃতীয় চোখটি সৃষ্টি হয়েছে।



বিবিসি জানায়, ডারউইন শহরের ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে হাম্পটি ডু শহরের কাছে ১৫ ইঞ্চি লম্বা সাপটিকে দেখতে পান বন কর্মীরা।



মাথায় তিনটি চোখ থাকার কারণে সাপটির কোনও কিছু খেতে অসুবিধা হচ্ছিল।



নর্দার্ন টেরিটরি পার্কস এ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস এই 'আবিষ্কার'কে অনলাইনে অদ্ভূত বলে বর্ণনা করে।



গত মার্চে সাপটি পাওয়া যাওয়ার পর হলিউডের সিনেমার জনপ্রিয় চরিত্রের নামে এর নাম দেওয়া হয়েছিল 'মন্টি পাইথন' - এবং কয়েক সপ্তাহ পরই এটি মারা যায়।



দেশটির বন্যপ্রাণী বিভাগ বলছে, সাপটির মাথার এক্স-রে করে দেখা গেছে যে এটির মাথার খুলি একটিই, এমন নয় যে ঘটনাক্রমে দুটি মাথা এক হয়ে গেছে। তার মাথার খুলিতে তিনটি চোখের সকেট বা গর্ত ছিল, এবং তিনটি চোখই কাজ করছিল।



কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাই বলেন, মিউটেশন বা কোষকলার বৃদ্ধি বিবর্তনের একটা স্বাভাবিক অংশ। "প্রতিটি শিশুর দেহেই কোনও না কোনও রকমের মিউটেশন হয়, এই সাপটির ক্ষেত্রে তা অস্বাভাবিক আকার নিয়েছে মাত্র।"



অধ্যাপক ফ্রাই বলেন, "আমি এর আগে তিনটি চোখওয়ালা সাপ দেখিনি, তবে আমাদের ল্যাবরেটরিতে দুই মাথাওয়ালা একটি কোবরা পাইথন সাপ আছে।"



"মানুষের মধ্যে যেমন জোড়া-লাগা শিশুর জন্ম হয়, ঠিক তেমনি সাপের মধ্যেও ভিন্ন ধরণের মিউটেশন হতে পারে"- বলেন তিনি।



অধ্যাপক ফ্রাই বলেন, সাপটির তৃতীয় চোখটি হয়তো একটি যমজ সাপের অবশিষ্টাংশ যা এর দেহের সাথে মিশে গেছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top