সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


পিটার ডাটনের কারনে অস্ট্রেলিয়ার পার্টনার ভিসার দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে


প্রকাশিত:
১১ মে ২০১৯ ০৬:১৩

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৬

পিটার ডাটনের কারনে  অস্ট্রেলিয়ার পার্টনার ভিসার দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির অন্যতম প্রধান নেতা পিটার ডাটন বর্তমানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি দীর্ঘসময় অভিবাসন এবং সীমান্ত প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী থাকাকালে তার বিভিন্ন মন্তব্য ও কাজকর্মে একটি সাধারণ ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে তিনি কঠোর অভিবাসন নীতিমালার সমর্থক। 

ইমিগ্রেন্টদেরকে এদেশে আসতে দিতে সম্ভবপর সকল বাঁধা দিতে যিনি সচেষ্ট, সেই পিটার ডাটনেরই এক ব্যক্তিগত সুপারিশের জোরে তার এক বন্ধুর পরিবারের জন্য একজন শিশু রক্ষনাবেক্ষণকারীকে বিশেষ ভিসা দেয়ার ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর যৌক্তিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছিলো, তিনি কি সত্যিই সকল অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর? না কি তার এই কঠোরতা কেবলমাত্র অশ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? 

সম্প্রতি ডিপার্টমেন্ট অফ মাইগ্রেশনের সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারী এবং অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন নীতিমালা প্রনয়ণের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সাবেক একজন কৃতি সরকারী কর্মকর্তা আবদুল রিজভীর রচনায় প্রকাশ হয়েছে পিটার ডাটনের আরেকটি কীর্তির খবর। 

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের মাঝে যারা অন্য দেশীয় কাউকে সাধারণত বিয়ে করে তারপর স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে এদেশে আনতে চান, সেই স্বামী বা স্ত্রীকে পার্টনার ভিসার আবেদন করতে হয়। এই ভিসার আবেদনকারীর সংখ্যা যখন বেড়ে যায় তখন তাদের এই আবেদনপত্রগুলোকে চাহিদার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করার নজির এদেশে রয়েছে। ১৯৮৯ এবং ১৯৯৬ সালে দুইবার এমন ঘটনা ঘটলে অস্ট্রেলিয়ান সংসদে সংশোধনীর আনয়নের মাধ্যমে বিশেষ বিবেচনায় অতিরিক্ত সংখ্যক পার্টনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। 

কিন্তু বর্তমানে জুন ২০১৮ সময়কালের শেষে, প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি পার্টনার ভিসার আবেদনকে অস্ট্রেলিয়ান সরকার অপেক্ষমান তালিকায় রেখে দিয়েছে। 

এ ভিসার আবেদনপত্র যখন নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছিলো, তখন তার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার পরিবর্তে তৎকালীন ইমিগ্রেশন মন্ত্রী পিটার ডাটন উল্টো এ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া শুরু করেন। তার পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড কোলম্যানও একই ধারা অব্যহত রেখেছেন। 

এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে পার্টনার ভিসার আবেদন করতে প্রায় ৮ হাজার ডলার খরচ হয়। পাশাপাশি বর্তমানে মার্চ ২০১৯ সময়কালে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি পার্টনার ভিসা পূনর্বিবেচনার আবেদন এপিল ট্রাইবুনালে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

সরকারের এই নীতির ফলে নতুন করে যারা এখন পার্টনার ভিসার জন্য আবেদন করছে, তাদের স্বামী বা স্ত্রীর ভিসা মঞ্জুর হতে দুই বছরেরও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। অন্যদিকে পুর্বে জমা হওয়া আবেদনপত্র যখন প্রক্রিয়াধীন হওয়ার তালিকায় আসবে তখন বাড়তি চাপের কারণে এ ভিসার আবেদনপত্রের ফলাফল পাওয়ার সময় ভবিষ্যতে আরও অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top