আতঙ্কিত হয়ে বেশি পেঁয়াজ কিনবেন না : বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:৫৩
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০০

প্রভাত ফেরী: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমাদের ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। আর এক মাস সময় পেলেই আমরা বিকল্প বাজার থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আনতে পারব।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অলরেডি মিয়ানমার, চীন ও তুরস্কের সঙ্গে কথা বলেছি। এক মাস সময় পেলেই সেখান থেকে পেঁয়াজ আনতে পারব। আর এক মাসের জন্য যে পরিমাণ প্রয়োজন, সেটা আমাদের মজুদ আছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এক মাস কষ্ট সহ্য করতে হবে। বর্ডারে আটকে থাকা পেঁয়াজ দু’একদিনের মধ্যে প্রবেশ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য জেল-জরিমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ১২/১৩শ টন পেঁয়াজ লোড হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে আসবে। একমাস আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে দুই কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। প্রথমত, ভারত হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় দেশের বাজারে চাপ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘পেনিক বায়িং’ তথা আতঙ্কিত হয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা।
তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার। এ পেঁয়াজ টিসিবির পাশাপাশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে কম দামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আগের এলসির বিপরীতে গত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিতে পারে ভারত। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে বলে বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এদিকে পেঁয়াজ আসার খবরে একদিনের ব্যবধানে হিলির পাইকারি বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। অপরদিকে পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকির দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
গত সোমবার অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ওইদিন বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: