শহিদুলের মুক্তি চেয়েছেন বিশ্ববরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা
প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০১৮ ০০:৪৪
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯

দৃক ফটো গ্যালারি ও পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বনন্দিত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে নির্যাতনের নিন্দা ও তার মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন ভাষাবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক নোয়াম চমস্কিসহ বিশ্ববরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৫ জন লেখক-সাংবাদিক-অ্যাকাডেমিশিয়ানের এ বিবৃতি প্রকাশিত হয়।
বিবৃতিতে এমআইটির প্রফেসর এমিরেটাস নোয়াম চমস্কি ছাড়াও লাহোর/ হুস্টোনের লেখক বাপসি সিদ্ধা, পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ফটোসাংবাদিক প্যাট্রিক ফ্যারেল, ম্যারি রিচার্ডসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক আয়েশা জালাল, যুক্তরাজ্যের বাথ স্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের সালিমা হাশমি, ফ্রেন্ড অব বাংলাদেশ পুরস্কার বিজয়ী কবি ড. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিদাতারা বলেন, আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংবাদমাধ্যমে কর্মরত শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পী ও আলোকচিত্রীরা বিশিষ্ট ফটোসাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে আটক ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে তার আশু মুক্তির আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, তার মতো একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী, যিনি শিল্প অবদানে সর্বোচ্চ পুরস্কার শিল্পকলা পদক পেয়েছেন, তার সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। বিবৃতিতে শহিদুলকে ‘বৈশ্বিকভাবে সুপরিচিত একজন মানবাধিকারকর্মী’ উল্লেখ করে বলা হয়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের পক্ষে সারা বিশ্বে তিনি তথ্য সংগ্রহ এবং মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করে গেছেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তিনি সান্ডারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অতিথি অধ্যাপক ও রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলো। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো জুরির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লাইফ ম্যাগাজিনের ছবিবিষয়ক সম্পাদক জন মরিস শহিদুল আলমের লেখা ‘মাই জার্নি এস অ্যা উইটনেস’কে ‘কোনো ফটোগ্রাফারের লেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই’ আখ্যা দিয়েছেন।
বিবৃতিতে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তুলে নিয়ে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কর্তৃক তার বাড়ির সম্পদ নষ্টের ঘটনা তদন্তের দাবি জানানো হয়। বিবৃতিদাতারা বাকস্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক আইন পরিবর্তন এবং শিশুসহ তরুণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আরো সংযত আচরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, রাবার বুলেট বা টিয়ার গ্যাস ব্যবহার না করে আগে যেভাবে সামাল দেয়া হচ্ছিল সেই পদক্ষেপ বজায় রাখা জরুরি। একই সাথে সরকার সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কোনো হামলাকারী যেন বেঁচে না যায় তাও লক্ষ রাখা জরুরি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: