ন্যাপ ও এনডিপি যে কারণে বিএনপি জোট ছাড়ল


প্রকাশিত:
১৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:১০

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৪:৫৩

ন্যাপ ও এনডিপি যে কারণে বিএনপি জোট ছাড়ল

সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দর ভারী করার এই ব্যস্ত সময়ে আরেক দুঃসংবাদ পেল বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০ দলীয় জোট থেকে জেবেল রহমান গানি নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ এবং খন্দকার গোলাম মর্ত্তোজা নেতৃত্বাধীন ন্যাশলান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।



মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর ইমানুয়েলন্স ব্যাঙ্কুয়েট হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় দল দু'টি।



এদিকে জোট ভেঙে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে ন্যাপ-এর চেয়ারম্যান জেবেল গাণি বলেন, ন্যাপ ও এনডিপি সাংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে। শুধু ক্ষমতার পালা বদলের নামে কোনো অশুভ শক্তির ক্ষমতা গ্রহণ করে ফের দেশকে রাজনীতিশূন্য করার কোনো অপচেষ্টায় অংশগ্রহণ করুক, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা তা প্রত্যাশা করি না।





 

গাণি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে নানা ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব থাকার পরেও জোটের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কেউ তৎকালীন ১৮ দলীয় জোট ছাড়েনি। কিন্তু এই ত্যাগকে বিএনপি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে কোনো মূল্যায়ন করেছে বলে আমাদের কাছে কখনো প্রতীয়মান হয়নি। বরং তাদের ভাবখানা ছিল এমন যে আমরা যাব কোথায়?



তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় তার শরিকদের অন্ধকারে রাখার অপচেষ্টা করে গেছে। জাতীয় নির্বাচন কাছাকাছি হলেও সে বিষয়ে বিএনপি তার অবস্থা শরিকদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করছে না।





 

তিনি আরও বলেন, সোমবার ২০ দলীয় জোটের বৈঠকেও বিএনপির উপস্থিত নেতৃত্ব বলেছেন, তাদের ওপর আজকের এই ঝড় কেবল ২০ দলীয় জোটের কারণেই হয়েছে। এই জোট না থাকলে তারা জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক চাপে মুখে থাকত না।আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের কারণে কেউ চাপে থাকুক, তা আমরা প্রত্যাশা করি না। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে যে এই দলগুলো তাদের পাশে ছিল বলেই অনেক ব্যর্থতার ভাগ তারা শেয়ার করতে পেরেছে। না থাকলে তাও পারত না।



জেবেল রহমান গাণির বলেন, জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, গত ১৩ অক্টোবর বিএনপি, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ।



সংবাদ সম্মেলনে দলদুটি জানায়, বিএনপি জোটের শরিক হিসেবে আমরা সাধ্যমত অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। নিজেদের মতবিরোধী ও মতাপার্থক্য থাকলেও জোটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবসময় আন্তরিক ছিলাম।



ন্যাপ নেতাদের ভাষ্যমতে, বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন নিয়ে ২০ দলীয় জোট থেকে কোনো উদ্যোগ বা সংলাপ করেনি। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করতে গিয়ে ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে আসনের বিষয়ে বিএনপির আলোচনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক্ষেত্রে বিএনপির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে ন্যাপের।



এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে কখনো ন্যাপের চেয়ারম্যানকে সংসদীয় আসন দেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত বা সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ২০১৫ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ন্যাপ চেয়ারম্যানের নির্বাচনী এলাকা নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে বিএনপির সমর্থন চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হন গাণি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top