নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : ইসি সচিব


প্রকাশিত:
১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১১:২১

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ২১:০০

নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : ইসি সচিব

৩০ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর আর কোনও সুযোগ নেই। ৩০ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছালে সেটা আইনি জটিলতায় পড়বে। বললেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ।



 



আজ (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।



 



বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন নির্বাচন জানুয়ারিতে হলে অনেক সমস্যা হবে। তবু নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। কমিশন সভায় নিবার্চন পেছানোর বিষয়টি আলোচনা হবে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।



 



হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দাবি জানিয়েছিল নির্বাচন পেছানোর জন্য। নির্বাচন কমিশন তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ৩০ ডিসেম্বরের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর পেছানোর কোনও সুযোগ নেই।



 



তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফলাফল গেজেট প্রকাশ, উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো কর্মযজ্ঞ রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমা হবে জানুয়ারিতে। সেখানে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষের সমাগম হবে। মোতায়েন থাকবে লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই ৩০ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর আর কোনও সুযোগ নেই বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।



 



সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানাবো। বাইরের পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ আমাদের থাকে।



 



ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অন্যের সিদ্ধান্ত কখনও গ্রহণ করেনি। রাজনৈতিক দলগুলো স্টেকহোল্ডার হিসেবে পরামর্শ দিয়ে থাকে।



 



দলগুলোর জোটগত অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে কাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করবে তা জানিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও জানিয়েছে। এক্ষেত্রে আইনে যেভাবে আছে, সেভাবো তারা প্রতীক পাবে। আর অনিবন্ধিত দল যেগগুলো আছে, তাদের যে দল প্রতীক দেবে সে অনুযায়ী ভোটে অংশ নেবে।



 



সেনা মোতায়েনের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি সেনা বাহিনী ভোটের ১০ দিন আগে কিংবা দুই দিন আগে মোতায়েন করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের থাকার ব্যবস্থার বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। তবে সেনাবাহিনী কখন, কিভাবে মোতায়েন হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top