মিতু ‘ব্যভিচার’এ জড়িত কিনা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ


প্রকাশিত:
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:২৫

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫২

মিতু ‘ব্যভিচার’এ জড়িত কিনা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ

চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজের তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী মিতু ও অন্য আসামিরা ‘ব্যভিচার’এর অপরাধে জড়িত কিনা সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।



সোমবার মিতুর বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশনামায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান উল্লেখ করেন- চট্টগ্রামে তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ‘ব্যভিচারের’ অপরাধের ধারা যুক্ত নেই।



তবে তিনি আকাশের স্ত্রী তানজিনা হক চৌধুরী মিতু ও অন্য আসামিরা উক্ত অপরাধে জড়িত কিনা সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।





 

রিমান্ডের আদেশনামায় বলা হয়, ‘উভয়পক্ষের বিজ্ঞ কৌঁসুলিদের বক্তব্য, কেইস ডকেট, রিমান্ড আবেদন ও নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মামলার আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে ‘এক্সট্রা মেরিটাল অ্যাফেয়ারস’ সহ বিভিন্ন পরপুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারের অভিযোগ রয়েছে। উক্ত বিষয় নিয়ে ভিকটিম মৃত ডা. আকাশ এবং আসামির মধ্যে দাম্পত্য অশান্তি বিরাজমান ছিল।’



এতে আরও বলা হয় ‘মামলার ভিকটিম আকাশের মৃত্যু সংক্রান্তে আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর কোনোরূপ উসকানি ছিল কিনা কিংবা ভিকটিমের মৃত্যুর আগে আসামিকে তার বাবার কাছে হস্তান্তরের আগে এমন কোনো উসকানি, কথাবার্তা, আচার-আচরণ বা কর্ম করেছেন কিনা যাতে ভিকটিম তার জীবননাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হয়েছে। উক্ত বিষয়সমূহ তদন্তের দাবি রাখে।’





 

আদালতের আদেশে বলা হয়, ‘তাছাড়া উক্ত মামলার ৫ ও ৬ নং আসামিদের পরিচয়অজ্ঞাত। তাদের পরিচয় এবং মামলার আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর সঙ্গে উক্ত আসামিদের খারাপ সম্পর্কের স্বরূপ উন্মোচন এবং ভিকটিম আকাশের মৃত্যু সংক্রান্তে তাদের কর্মকাণ্ড কোনোরূপ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে কিনা সেগুলোও তদন্তের দাবি রাখে।’



আদালত উল্লেখ করেন, ‘মামলার এজাহার এবং ফরোয়ার্ডিং দৃষ্টে আসামি তানজিনা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে স্বামী অর্থ্যাৎ মৃত ভিকটিম আকাশের বর্তমান থাকা সত্ত্বেও পরপুরুষের সঙ্গে সহবাসসহ নানাবিধ সম্পর্কে জড়ানো এবং ক্লাবে গিয়ে রাতযাপনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মৃত ভিকটিম আকাশের আসামির উক্ত কাজে বাধা প্রদান করার কারণে আসামিরা কর্তৃক মৃত ভিকটিম ডা. আকাশকে মানসিক যন্ত্রণা প্রদান করার অভিযোগ রয়েছে।’



রিমান্ডের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় রাষ্ট্রপক্ষের দাবিকৃত মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের পরিচয় আবিষ্কারসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান যুক্তিসংগত।’



উক্ত আদেশে তানজিনা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।



আদালতের আদেশের শেষের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যদিও মামলার এজাহারে দণ্ডবিধি ৪৯৭ ধারা (ব্যভিচার সংক্রান্ত) সংযুক্ত নেই। কিন্তু মামলা তদন্তে উক্ত ধারার উপস্থিতি পেলে এবং কোনো আসামির যোগসূত্র পেলে তাদের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করবেন।’

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top