গাছের শুকনাপাতা গুঁড়া করে যেভাবে তৈরি হচ্ছে ভেজাল ওষুধ
প্রকাশিত:
১৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০৪
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩০

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল ও নকল ওষুধ তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় র্যাব-৬ এর সদস্যরা ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সেকনো নামের (গ্যাসের ট্যাবলেট), নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির মেশিন ও সরঞ্জামাদি, ওষুধের খালি মোড়ক ও নকল ওষুধ তৈরির কাঁচামাল জব্দ করেছে।
নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখোলা গ্রামের আবাসিক এলাকায় ঢাকার জনৈক সাইফুল ইসলাম নামের ব্যক্তি বসবাসের কথা বলে ঘর ভাড়া নিয়ে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছিল বলে র্যাবসূত্র জানিয়েছে।
এ সময় ভেজাল ও নকল ওষুধ সরবরাহকারী প্রফেসরপাড়া মোড় এলাকার বাসিন্দা আলামিন নামে এক ভ্যানচালককেও আটক করেছে র্যাব।
ভ্যানচালক আলামিন র্যাবকে জানিয়েছেন, কার্টনভর্তি ওষুধগুলো কেশবপুরের পাঁজিয়ার নারায়ণপুর গ্রামের হালিম সরদারের ছেলে প্রিন্স তাকে ওষুধগুলো কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে নেয়ার জন্য বলে। প্রিন্স কুরিয়ার সার্ভিস অফিসে অপেক্ষা করবে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সে ভ্যান ভাড়া পরিশোধ করবে। পরে ভ্যান চালকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গুয়াখোলা গ্রামের আবাসিক এলাকায় একটি ভবনে অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ (সেকনো-২০) জব্দ করা হয়।
লাইফ কেয়ার নামে এই প্রতিষ্ঠানটি সেকনো-২০ গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করে অনেক দিন ধরে বাজারজাত করে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে ভবনে অভিযান শুরুর আগেই ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে যান। এ সময় কারখানার ভেতর থেকে নকল ওষুধ তৈরির দুটি মেশিন, সরঞ্জামাদি, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও খালি প্যাকেট জব্দ করে। খালি প্যাকেটগুলোর গায়ে লেখা আছে লাইফকেয়ার সেকনো- ২০। ওই বাসার একটি কক্ষে কয়েকটি পাত্রে পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করা অবস্থায় পাওয়া যায়।
প্রধান ফটকে একটি সাইন বোর্ড রয়েছে। তা খুব ছোট আকারের। লেখা রয়েছে লাইফকেয়ার (ফুড ও বেভারেজ)।
র্যাব সূত্র দাবি করেছে, এই চক্রটি বিভিন্ন গাছের শুকনাপাতা গুঁড়া করে তার সঙ্গে কেমিকেল মিশিয়ে সেকনো-২০ নামে এই ভয়াবহ ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল।
উৎসঃ যুগান্তর
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: