‘সচেতনতাই পারে সমাজে ডিমেনশিয়া রোগীদের অবস্থার উন্ননয়ন ঘটাতে’


প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৪৪

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩০

‘সচেতনতাই পারে সমাজে ডিমেনশিয়া রোগীদের অবস্থার উন্ননয়ন ঘটাতে’

বাংলাদেশসহ পৃথিবীব্যাপী ডিমেনশিয়া রোগ ও এর ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পিকেএসএফ, বাংলাদেশ ডিমেনশিয়া ফ্রেন্ডস্ কমিটি, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস্ সোসাইটি এবং আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আজ ১৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে পিকেএসএফ ভবনে ‘ডিমেনশিয়া: যত্ন, ভালবাসা ও আশা’ শীর্ষক দিনব্যাপী একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়।



সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান, এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সূচনা বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আবদুল করিম।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান বলেন, ডিমেনশিয়া রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশে এখনো জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। ফলে, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন। হাসপাতাল সকল সমস্যা সমাধান করতে পারে না; সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।



সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ডিমনেশিয়া ‘আরোগ্য-অযোগ্য’ একটি রোগ যার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা। মানুষকে কেন্দ্র করে পিকেএসএফ-এর কার্যক্রম বিন্যস্ত এবং সেই আলোকে ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কাজ করছে পিকেএসএফ। ডিমেনশিয়াবান্ধব সমাজ গড়তে পিকেএসএফ-এর প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।



পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল করিম বলেন, এদেশের সমাজে ডিমেনশিয়া রোগীরা অবহেলিত, যার মূলে রয়েছে সচেতনতার অভাব। প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবীণ স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগ সম্পর্কে প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।



সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জসীম উদ্দিন, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ জনাব মোছাঃ সেলিনা জাহান লিটা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর মহাপরিচালক জনাব সারোয়ার মাহমুদ এবং জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর এনসিডি কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন-এর সভাপতি ব্রিগেডিয়ার (অব:) আব্দুল মালিক।



২০১৫ সালে বাংলাদেশে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ছিলো ৪ লক্ষ ৬০ হাজার এবং ২০৩০ সালে তা ৮ লক্ষ ৩৪ হাজার এবং ২০৫০ সালে ২১ লক্ষ ৯৩ হাজার হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top