রোহিঙ্গাদের কারনে হুমকির মুখে বৈদেশিক শ্রমবাজার


প্রকাশিত:
২৮ মে ২০১৯ ২০:৩৫

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:২৬

রোহিঙ্গাদের কারনে হুমকির মুখে বৈদেশিক শ্রমবাজার

মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কিছু  স্থানে শরণার্থী আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই ক্যাম্পগুলো থেকে অবৈধ বেরিয়ে এসে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অবৈধপন্থা অবলম্বন করছেন তাঁরা। বিশ্লেষকরা মতে, এই অবস্থা চলতে থাকলে, নিকট  ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপে পড়বে বাংলাদেশ। বন্ধ হতে পারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।



বাংদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত তথ্য বলছে শুধুমাত্র চলছি মাসে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার সময় ২১০ জন রোহিঙ্গা নাগরি আটক হয়েছে।



এবিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশিদ  বলেন, আগেও বলেছি এখনও বলছি রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা যতদিন জিরো টলারেন্স নীতি পৌঁছাতে না পারবো ততো দিন এমন একাধিক সমস্যা থেকে যাবে।





 

বিদেশে পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আসলে তাদের একার পক্ষে কখনো এত কাগজপত্র তৈরি করে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব না। এমনকি অবৈধ ভাবে সাগর পথেও যাওয়া সম্ভব না। অবশ্যই বাংলাদেশিদের কোনো না কোনো চক্র এর সাথে জড়িত আছে। তাই তাদের সবার আগে আটক করতে আইনের আওতায় আনতে হবে।  তাহলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। 



অভিবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে এমনিতেই বাংলাদেশের শ্রমবাজার মন্দা। তাঁর উপরে বর্তমানে নানা অবৈধপন্থা অবলম্বন করে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বাংলাদেশের পাসপোট ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, ওমান পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে।





 

যার ফলে এই দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষের উপরে বিশেষ ভাবে নজর রাখছে। যার ফলে এই দেশগুলো থেকে বিগত কয়েক মাসে শুধুমাত্র সন্দেহের উপরে ভিত্তি করে দেশগুলো প্রবেশের আগে অনেক বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন।



তিনি আরও বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে, নিকট ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপে পড়বে বাংলাদেশ। বন্ধ হতে পারে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।



প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহানের সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, আমি স্বীকার করছি রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে বর্তমানে আমাদের কিছুটা সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার ইতি মধ্যে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ  দিয়েছেন। যার ফলে আমাদের একটি বিশেষ টিম এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top