রংপুরের পল্লী নিবাসে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এরশাদ
প্রকাশিত:
১৭ জুলাই ২০১৯ ০৬:২৩
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন দাফন সম্পন্ন। নিজের সাজানো পল্লীনিবাসেই তাকে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ৫টা ৪৪ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সাবেক এ রাষ্ট্রপতিকে দাফন করার আগে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে তার প্রতি শোক জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শেষ জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এরশাদকে শেষবারের মতো দেখতে লাখো জনতা উপস্থিত হয়েছেন জানাজা মাঠে। তার শেষ জানাজায় অংশ নিতে জনস্রোতে পরিণত হয়েছে রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ২ টা ২৯ মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা।
মঙ্গলবার বাদ জোহর বেলা আড়াইটায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পথে মরদেহ বহনকারী গাড়ি আটকে দেয়া হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি জানান। জানাজার আগে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও এরশাদ পুত্র স্বাদ প্রমুখ।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে জানাজা শেষে হট্টগাল শুরু হয়। জানাজা শেষে রংপুরে এরশাদের মরদেহ দাফনের জন্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে মরদেহ বহনকারী গাড়ি। এ সময় ১৫ মিনিট আটকে রাখা হয় মরদেহ বহনকারী গাড়ি। পরে জনস্রোত উপেক্ষা করে জানাজা মাঠ ত্যাগ করে গাড়ি। সেখান থেকে পল্লী নিবাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় গাড়িটি। গাড়িটিতে আছেন রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।
এর আগে জানাজাপূর্ব বক্তৃতায় এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি তোলেন রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। পরে জি এম কাদের বক্তব্য দেন। এ সময় এরশাদের দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। বেলা ২টা ২৫মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরে শতশত কর্মী। রংপুরে তার কবর দেয়ার দাবি করেন তারা।
এর পর সিদ্ধান্ত হয় নিজ এলাকা রংপুরেই দাফন করা হচ্ছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। রংপুরের মানুষের ভালোবাসায় শ্রদ্ধা রেখে পল্লীনিবাসেই সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পার্টি।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
তিনি জানান, রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে তার জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেন রওশন এরশাদ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: