দেশে ছেলে ধরা সন্দেহে মানুষ হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে


প্রকাশিত:
২১ জুলাই ২০১৯ ২২:৩৭

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯

দেশে ছেলে ধরা সন্দেহে মানুষ হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে

হঠাৎ করেই বাংলাদেশে ছেলে ধরা সন্দেহে মানুষ হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছেলেধরা সন্দেহে নতুন করে আরও অন্তত তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় মানুষ হত্যা যে মারাত্মক অপরাধ তা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পুলিশ।



শনিবার রাতে পুলিশ সদরদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে ‘গণপিটুনি’ না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন।



পুলিশ সদরদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ।” ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সদরদপ্তর বলেছে,“এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”





 

ছেলেধরা সন্দেহে শনিবার সকালেও ঢাকার উত্তর বাড্ডায় একজন নারী ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একজন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এরপর মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আরেকজনকে।



এদের বাইরে গাজীপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন নারী এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আরেক তরুণীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে একই সন্দেহে।





 

এর আগে শুক্রবার রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে দুই যুবককে পিটুনি দেওয়ার পর তাদের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছে।



পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে ‘মানুষের মাথা লাগবে’ বলে সম্প্রতি ফেইসবুকে গুজব ছড়ানো হয়, যাতে বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।



এরমধ্যে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা শহরে এক যুবকের ব্যাগ তল্লাশি করে ‘শিশুর মাথা’ পাওয়ার পর তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকাবাসী। এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে দলবেঁধে বিভিন্ন জনের আক্রমণের ঘটনা ঘটছে।



গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে শিশু চোর সন্দেহে তসলিমা বেগম রেনু নামের যে নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার স্বজনরা বলেছেন, দুই সন্তানের জননী রেনু সত্যিই তার মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য খোঁজখবর নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিরপরাধ এই মানুষটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top