ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত


প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:১৮

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৮

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে সাতক্ষীরায় ৫০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি। দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। এর মধ্যে ১৭ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ হাজার ঘরবাড়ি। এছাড়াও ১৭টি মাছের ঘের, ১৫ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন সম্পূর্ণ এবং ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো তাণ্ডবই চলেছে জেলার উপকীলীয় এলাকায় ৮১ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরায় শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ৩টা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ প্রচণ্ড বর্ষণ শুরু হয়। মূল ঝড়টি আঘাত হানে রবিবার ভোর ৫টায়। নদীর পানি বেড়ে শ্যামনগরের সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়ে গেছে।



উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও কমবেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।



শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, এলাকায় একটি ঘরবাড়িও নেই। এখানকার বেশিরভাগ ঘরবাড়িই হচ্ছে মাটির তৈরি। দুই একটি টিনের। মাটির তৈরি ঘরবাড়ি ও টিনের ঘরবাড়ি সব বিধ্বস্ত হয়েছে। আমার ইউনিয়নে পাঁচ হাজারেরও অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এলাকার মাছের ঘেরগুলো সব ভেসে গেছে।



একই উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ইউনিয়নের দুই হাজারেরও অধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটির তৈরি কোনো ঘরবাড়িই ভালো নেই। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের ঘেরগুলোও ভেসে গেছে।



অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মানুষের থাকার জায়গাটুকুও অবশিষ্ট নেই। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।



রোববার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল ঘূর্ণঝড়ে সাতক্ষীরা সদর, তালা, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।



সাতক্ষীরা জেলা কন্ট্রোল রুমের তত্ত্বাবধায়ক জেলা ডিআরআরও প্রশান্ত কুমার রায় জানান, জেলাব্যাপী ৫০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৬০টি ঘর। সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৮০টি ঘরবাড়ি। এছাড়া জেলার কোথাও কোনো হাতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top