ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলা: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত:
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৪৭

আপডেট:
২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:৫৬

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা

প্রভাত ফেরী: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শিয়ালধরা বাজারের ওষুধের দোকানি মাজহারুল ইসলাম ওরফে পল্টন হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় সাত জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একলাছ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, আবুল কাশেম ওরফে বাচ্চু মেম্বার, কবির মিয়া, আবুল কাশেম, বাদল মিয়া, ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী। এদের মধ্যে ফারুক মিয়া ও রুমা আক্তার পলাতক।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আফতাব উদ্দিন ওরফে আক্রাম আলী, বদরুল আলম ওরফে বদরুল, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, রফিক, আবু সিদ্দিক ও দুলাল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা জানান, আসামিদের মধ্যে রুমা আক্তার ও ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (২৪ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বা ১ মার্চ সকালে মাজহারুলকে তার ওষুধের দোকানে মাথা ও কপালে আঘাত করে খুন করা হয়। হত্যার পর দোকানের ভেতরে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গামছা দিয়ে মরদেহ বেঁধে রেখে দোকানে তালা দিয়ে চলে যায় আসামিরা। ঘটনার দিনই মাজহারুলের বোন বিউটি আক্তার বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা করেন।

অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ার পর জব্বর মোহরী নামে এক আসামি মারা যান। আদালত জব্বর মোহরীকে অব্যাহতি দিয়ে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top