সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


পরিবারের দাবি সিফাত উল্লাহ মানসিক রোগী


প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০১৮ ১৩:০৮

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

পরিবারের দাবি সিফাত উল্লাহ মানসিক রোগী

কী! হিংসে হয়?

আমার মতো হতে চাও?

বিশ্ববিখ্যাত? সেলিব্রিটি?

কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক, অভিনেতা?



সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে এই সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তির নাম সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। কিম্ভুতকিমাকার ভঙ্গিতে বাংলাদেশ ও সমসাময়িক বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আর অদ্ভুত, অশ্লীল ও বেপরোয়া কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন ভার্চুয়াল জগতে। 



অস্ট্রিয়াপ্রবাসী এই বাংলাদেশির এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত তার পরিবারও। তার স্ত্রী জানান, ২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন সিফাত। বর্তমানে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার মতো অশালীন বক্তব্য ছড়াচ্ছে আরো অনেকেই। আর পুলিশ বলছে বিদেশে বসে যারা প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা মাঝে মধ্যেই ফেসবুক লাইভে আসেন এবং নিজেকে মুক্তমনা, কবি, সাহিত্যিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, অভিনেতা, জাতিসংঘের প্রতিনিধি রূপে উপস্থাপন করেন। সেই সাথে নিজেকে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসাবেও পরিচয় দেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে মদ খাওয়া আহ্বান জানান এবং নিজে লাইভে এসে মদ পান করেন। তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ছোটলোক, গরিব, মূর্খ ইত্যাদি নামে সম্বোধন করে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক দল, প্রবাসীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু করেন।



জানা যায়, সেফুদা বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থান করছেন। তিনি তার পরিবার হতে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তিনি সবাইকে ঢাকার গোড়ানের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে পরিচয় দেন। অস্ট্রিয়ায় বসবাসের জন্য তার কোনো বৈধ কাগজপত্র নাই বলেও জানা যায়। 



সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার স্ত্রী বলেন, 'সবাই, আত্মীয়-স্বজনের কাছে আমাদের মুখ নাই। কেমন লাগতেছে আমরা জানি। এখন এগুলো কি বন্ধ করার কোনো পথ নাই? ইউটিউব কি এগুলো কোনো প্রতিকার করতে পারে না? আর উনি তো সিজোফ্রেনিয়া রোগী!'



সম্প্রতি আসাদ পংপং নামে এক বাংলাদেশিও এমন বেপরোয়া ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। বাংলাদেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করায় তাকে গ্রেপ্তার করে মালোয়েশিয়া পুলিশ। 



এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী জানান, বিদেশে বসে যারা দেশ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্নসৃষ্টিকারী কোনো অপরাধ করেন, সে বিয়ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, অন্যদেরকেও আমরা চিহ্নিত করছি যেখানেও থাকুন না কেন।'



ফেসবুক ট্রলের একটি বড় অংশের এখন কথিত সেফুদা ও আসাদ পংপংদের আধিপত্য। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের চর্চা মানুষের শুভবুদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিদেশেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফেসবুক ও ইউটিউবের অপব্যবহার বাড়ছে। আমাদের এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top