সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু


প্রকাশিত:
৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৪০

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৮

সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা শুরু

সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উন্নত চিকিৎসা শুরু হয়েছে।



এর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সোমবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের সেলেটর বিমানবন্দরে অবতরণ করে।



এদিন বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাকে বহনকারী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।



বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েলফেয়ার অফিসার মো. আল আমিন হোসেন।  



বিকেল ৩টার কয়েক মিনিট পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে নেয়া হয়। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ইশরাতুন নেসা কাদের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ডা. আবু নাসের রিজভী।



এর আগে দুপুরে বিএসএমএমইউ’র মিল্টন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ‘উপমহাদেশে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেবী শেঠির পরামর্শেই ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে। উনার পরামর্শ আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি৷ তিনিও সিঙ্গাপুরে নেয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন।’



সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র বেঙ্গালুরু নারায়না ইন্সটিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস’র প্রতিষ্ঠাতা ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি বিএসএমএমইউ’তে প্রবেশ করেন।



রবিবার (৩ মার্চ) রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিতে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পৌঁছায়। সঙ্গে এসেছিলেন সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও দুই সেবিকা। 



উল্লেখ্য, রবিবার (৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে ভর্তি করা হয় সরকার ও আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্রকে। সেখানে চিকিৎসকরা তার শরীর চেকআপ করেন। পরামর্শ দেন দ্রুত এনজিওগ্রাম করার। এনজিওগ্রাম করার পর ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ব্লক খুলে রিং পরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  এরপর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top