সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


ভিয়েতনামে কুকুর-সাপ খাওয়া বন্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে


প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১১:২৬

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৫:৫৭

ভিয়েতনামে কুকুর-সাপ খাওয়া বন্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম পর্যটন ও স্ট্রিট ফুডের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। দেশটির ফা নুডুলস স্যুপ এবং পাতে বান মি স্যান্ডউইচের মেন্যু প্যারিস থেকে পিটাসবার্গ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।



তবে ভিয়েতনামের জনপ্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে কুকুর ও সাপের মাংস। কিন্তু প্রাণি অধিকারকর্মীরা ও ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে, খাদ্য তালিকা থেকে যেন এই দুটো খাবার বাদ দেয়া হয়। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।



ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের মার্কেট এবং দোকানে ভাজা, সেদ্ধ বা ভাপে সেদ্ধ করা কুকুরের মাংস পাওয়া যায়। ভিয়েতনামিরা সাধারণত চোলাই মদ বা বিয়ারের সঙ্গে কুকুরে মাংস খেয়ে থাকে।



কিন্তু সম্প্রতি হ্যানয়ের কর্তৃপক্ষ কুকুরে মাংস খাওয়া বন্ধে দেশটির মানুষজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।



জনপ্রিয় এই খাবারটি শহরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে এবং জলাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় এমন আহ্বান জানিয়েছে তারা।



শহর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাণি হত্যার চর্চা প্রায় ক্ষেত্রেই নৃশংস এবং শহর কর্তৃপক্ষ আশা করে যে, ধীরে ধীরে এই চর্চা বন্ধ হবে।



ওই বিবৃতিতে তারা জানায়, এটি বিদেশিদের কাছে ‘সভ্য ও আধুনিক রাজধানী’ হিসেবে হ্যানয়ের সুনাম রক্ষার বিষয়। কেননা তাদের অনেকেই এসব প্রাণি পোষ্য রাখে, তাই এসব প্রাণির মাংস খাওয়া তাদের কাছে একটি ট্যাবু। শহর কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, কুকুর ও বিড়ালকে হত্যা করে তাদের মাংস বিক্রির ঘটনায় পর্যটক ও হ্যানয়ে বসবাসরত বিদেশিরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।



ভিয়েতনামে সাপের মাংস এবং রক্তও খুব জনপ্রিয় একটি খাবার



শহরের কর্তৃপক্ষ কুকুরের মাংস ছাড়াও বিড়ালের মাংস না খেতেও সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিড়াল যা ভিয়েতনামের মেন্যুতে ‘লিটল টাইগার’ নামে পরিচিত, কুকুরের চেয়ে কিছু কম জনপ্রিয়, তবে গ্রাম্য এলাকায় ঠিকই সহজলভ্য।



ভিয়েতনামের আরেকটি উপাদেয় স্ট্রিট ফুড হচ্ছে সাপের মাংস ও রক্ত। সাপের মাংস ও রক্ত খেলে পুরুষের যৌন শক্তি বাড়ে, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়, মাথাব্যথা দূর এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।



তবে বলা হয়, শুধু পঞ্চাশোর্ধ লোকদেরই সাপের রক্তের তৈরি মদ পান করা উচিত, তরুণরা খেলে যৌন শক্তি হারাতে পারে।



সাপগুলোকে উত্তরের জঙ্গল থেকে ধরা হয়। তারপর সেগুলোকে গরম পানিতে দিয়ে নির্মমভাবে মারা হয়। বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ মারলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।



বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থা ফোর পস ইন্টারন্যাশনালের আইওনা ডাঙ্গলার বলেছেন, এই প্রাণিদের জীবন শেষ হচ্ছে একটি খাবার প্লেটে বা পানীয়ের গ্লাসে। এটা খুবই বেদনাদায়ক এবং যে উদ্দেশ্যে এটি করা হচ্ছে তা যৌক্তিক নয়।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top