সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


জাতিসংঘে শহিদুল আলমসহ ৬ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি


প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৫১

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪২

জাতিসংঘে শহিদুল আলমসহ ৬ সাংবাদিকের মুক্তি দাবি

বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমসহ ৬ সাংবাদিকের মুক্তি দাবিতে ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘে চলতি ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনের পাশাপাশি প্যানেল ডিসকাশন হয়েছে। জাতিসংঘ ভবনের ইকসোক মিলনায়তনে এ শুনানির আয়োজন করে সারাবিশ্বের পেশাদার সাংবাদিকদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস(সিপিজে)।



স্বাধীন সাংবাদিকতায় প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এ সময়। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার তথ্য সংগ্রহ করার সময় গ্রেফতার হওয়া রয়টার্সেরর সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কিয়াউ সো ও, কিরগিস্তানের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আজিমজন আসকারভ, মিশরের ব্লগার আলা আবদেলফাত্তাহ এবং ফটো-সাংবাদিক মাহমুদ আবু যায়েদ এবং বাংলাদেশের ফটোসাংবাদিক শহিদুল আলমের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় এ আলোচনায়।





শুনানিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়, স্বাধীন সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্যে।



এ আলোচনার অন্যতম প্যানেলিস্ট সিপিজের নির্বাহী পরিচালক জুয়েল সাইমন বলেন, আজ আমরা যে সব সাংবাদিকের মুক্তি দাবিতে কথা বলছি, তারা নিজের জীবন বিপন্ন জেনেই নিজ দেশবাসী তথা গোটাবিশ্বের কাছে প্রকৃত তথ্য উপস্থাপন করছিলেন। সাংবাদিকদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু প্রচার ও প্রকাশে বাধা প্রয়োগে সংশ্লিষ্টরা সফলও হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়ে সর্বসাধারণের কাছে সত্যিকারের তথ্য পরিবেশনের যে অধিকার তা ব্যাহত করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি জাতিসংঘ উপেক্ষা করতে পারে না।



মিয়ানমারের সংবাদ সংগ্রহের সময় গ্রেফতার হওয়া রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এদের জন্যে আইনগত লড়াই চালনাকারী ব্যারিস্টার অামাল ক্লুনি বলেন, প্রায় এক বছর হলো এই দুই সাংবাদিক তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদেরকে সাজানো মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। তাদেরকে দণ্ড প্রদানের ঘটনাটি সভ্য সমাজকে বিস্মিত করেছে। এখন তাদের মুক্তির ব্যাপারটি নির্ভর করছে মিয়ানমার প্রশাসনের ওপর।



রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে এডলার জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকদের মুুক্তির জন্যে। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ ব্যাহত করা হলে তার পরিণাম কারো জন্যেই শুভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন এডলার।



এর আগের দিন অর্থাৎ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের সময় বাইরে শহিদুল আলমের গ্রেফতারের নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তি দাবিতে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে আমেরিকানরাও অংশ নেন।



সদর দফতরের প্রধান প্রবেশ পথের সামনে ফার্স্ট এভিনিউ এবং ৪৭ স্ট্রিটের কর্নারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। এ সময় স্লোগান উঠে, ‘হোয়াট ডু উই ওয়ান্ট-ফ্রি শহিদুল’, হোয়েন ডু উই ওয়ান্ট-নাউ’। বিক্ষোভ চলাকালে দেশাত্মবোধক সংগীতও পরিবেশন করেন অংশগ্রহণকারিরা। বিক্ষোভে শহিদুল আলমের বোন শামীমা খানসহ পরিবারের চার সদস্যও অংশ নেন। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top