সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


যে কারণে তাবলিগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব


প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০২

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:০৮

যে কারণে তাবলিগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব

বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের ভেতরে দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু শনিবারের সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে এই দ্বন্দ্ব সহিংস রূপ ধারণ করেছে। আর এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে আছেন তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ভারতীয় মোহাম্মদ সাদ কান্দালভি।



শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানায় বিবিসি বাংলা। এতে বলা হয়, বেশকিছু দিন ধরেই কান্দালভি তাবলিগ জামাতে এমন কিছু সংস্কারের কথা বলছেন, যা বিভক্তি সৃষ্টি করেছে।



সাদ কান্দালভি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা উচিত নয়। মাদরাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদরাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়া উচিত যাতে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ে।



কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ কান্দালভি যা বলছেন, তা তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী।



এদিকে কান্দালভির সমর্থকরা বলছেন, তাদের নেতার বক্তব্য বা সংস্কারের প্রস্তাব মানতে না পেরেই বাংলাদেশে সংগঠনটির কর্মকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক চেহারা’ দেয়া হয়েছে।



অন্যদিকে কান্দালভির বিরোধী এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, তিনি এখনও এ মতবাদ ত্যাগ করেননি। তাই এটা যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে এবং মুসলিমরা যেন পথভ্রষ্ট না হয়, সেজন্য তারা কাজ করে চলেছেন। এর মধ্যে এক কণাও রাজনীতি নেই।



ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন এই তাবলিগ জামাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বর। তখন তাদের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই গ্রুপের কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।



এরপর চলতি বছর জুলাই মাসে ঢাকায় কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে তাবলিগ জামাতের একাংশের একটি সম্মেলন হয়। এতে কান্দালভিকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।



ঢাকার মোহাম্মদপুরে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়, কান্দালভির বক্তব্য ও মতবাদকে অনুসরণ করা হবে না এবং আগামী বিশ্ব ইজতেমার সময় তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না।



কান্দালভির এসব চিন্তাভাবনা নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্বের প্রভাব গত ইজতেমাতেও পড়ে। তিনি বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেও ইজতেমা প্রাঙ্গণে যেতে পারেননি। বিরোধী পক্ষের প্রতিবাদের মুখে দিল্লি ফিরে যান।



এরপর থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ এখনও তাবলিগ জামাতের প্রধান দপ্তর কাকরাইল মসজিদেই অবস্থান করছে কিন্তু কার্যক্রম চালাচ্ছেন আলাদাভাবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top