মিয়ানমারে বিমান হামলা; হাজার হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে আশ্রয়
প্রকাশিত:
২৯ মার্চ ২০২১ ১৭:৫৭
আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৩৭

প্রভাত ফেরী: মিয়ানমারে একটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
শনিবার রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মুতরাউ জেলার পাঁচটি এলাকায় বিমান হামলা চালায়। গৃহহীনদের একটি আশ্রয় কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়।
মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে সামরিক বিমান হামলার পর তিন হাজারের বেশি অধিবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
কারেন উইম্যান্স অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই মুহূর্তে তিন হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে আছে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করে শরণার্থী হিসেবে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে চায়।
রোববার থাই পিবিএস-র খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের প্রায় তিন হাজার শরণার্থী থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন।
বিমান হামলায় আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় ত্রাণ সংস্থা ‘ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স’ এর প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ইউবাঙ্ক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে এখানে বিমান হামলার আওয়াজ পাইনি। ওই হামলা রাতে করা হয়েছে। তাই বলাই যায়, রাশিয়া এবং চীনের সহযোগিতায় বার্মার (মিয়ানমার) সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটা খুবই প্রাণঘাতী।
শনিবারের ওই হামলায় কেএনইউ নিয়ন্ত্রণাধীন একটি গ্রামের অন্তত তিনজন সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
বিষয়: মিয়ানমারে হামলা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: