সিডনী শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান


প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২২ ০১:৫৬

আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:২৬

‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান। শুক্রবার আরাফাতের ময়দানে সারাবিশ্বের ১০ লাখ হাজীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম এই বার্ষিক সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের পর এবারই প্রথম বৃহৎ আকারে হজের আয়োজন হয়েছে।

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বুধবার রাতেই হাজিরা মিনার তাঁবুতে পৌঁছাতে শুরু করেন। হাজীরা ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফ শেষে এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মিনায় যাত্রা করেন। অন্যান্য দেশের হাজীদের সাথে বাংলাদেশের ৬০ হাজার হাজীও রওনা হন মিনার পথে। এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’ মিনায় পৌঁছে হাজীরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নিজ নিজ তাঁবুতে। মিনায় রাতে অবস্থান শেষে আজ শুক্রবার হাজীরা আরাফাত ময়দানে সমবেত হন। তবে গতকাল রাতেই অনেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওনা হন। সেখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়ার জন্য শায়খ ড. মুহাম্মদ আবদুল করিম আল-ঈসাকে নিযুক্ত করেছেন সৌদি বাদশাহ। একই সাথে মসজিদে নামিরাতে যোহর ও আসর নামাজ পড়ান তিনি।

শুক্রবার সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজীরা। শনিবার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন হাজীরা। মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজীদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর আরো দুই দিন অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজীরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করেন। তবে পরের বছরগুলোতে মহামারীর কারণে আকার সীমিত করতে হয়। ২০২০ সালে মাত্র ১০ হাজার এবং ২০২১ সালে ৬০ হাজার সৌদির বাসিন্দা হজ পালনের সুযোগ পান। এ বছর সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ১০ লাখ মুসলিম হজ পালনে মক্কায় সমবেত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ লাখ ৫০ হাজার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। বাকিরা সৌদি আরবের নাগরিক।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top