সিডনী শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


দানিয়ুব নদীতে ভেসে উঠছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান যুদ্ধজাহাজ


প্রকাশিত:
২২ আগস্ট ২০২২ ১৬:৫১

আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৪১

 

সার্বিয়ার প্রাহোভোর কাছে দানিয়ুব নদীতে ভেসে উঠছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান যুদ্ধজাহাজ। প্রবল খরায় পানির স্তর কমে যাওয়ায় একসময়ে ডুবে যাওয়া একাধিক যুদ্ধজাহাজের অংশ চোখে পড়েছে।

ভয়াবহ খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দানিয়ুব। এটি ইউরোপের খরস্রোতা নদীগুলোর একটি এটি। ১০০ বছরের মধ্যে এ নদীর জলস্তর চলতি বছর অন্যতম সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। খরার ফলে জলস্তর নেমে সার্বিয়ার বন্দর নগরী প্রাহোভোর কাছে দানিয়ুবের বুকে বিস্ফোরক-বোঝাই কয়েক ডজন জার্মান যুদ্ধজাহাজের দেখা মিলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেগুলো ডুবে গিয়েছিল।

করোনায় আক্রান্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রীকরোনায় আক্রান্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী

১৯৪৪ সালে দানিয়ুবে ভেসে যাওয়া নাৎসি জার্মানিরশত শত জাহাজগুলির মধ্যে এগুলিও ছিল। সোভিয়েত বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার পর তারা কৃষ্ণসাগর থেকে পিছু হটে। এখনও পানির স্তর কম থাকলে এই জাহাজের অংশগুলির কারণে নৌযান চলাচলে বাধা পড়ে।

পূর্ব সার্বিয়ার প্রাহোভোর কাছে দানিয়ুবের একটি অংশে ২০টিরও বেশি জাহাজের অংশ দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলিতে বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক মজুত রয়েছে ফলে নৌযান চলাচলে বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

222দোনাউ নিয়েদ্রিগওয়াসার নামে স্থানীয় এক মৎস্যজীবী নিজের নৌকায় যাওয়ার সময় জার্মান যুদ্ধজাহাজের ভেসে ওঠা অংশ দেখছেন৷

জার্মান জাহাজ নিয়ে একটি বই লিখেছেন প্রাহোভোর চুয়াত্তর বছর বয়সি ভেলিমির ট্রাজিলোভিক। তিনি বলেন, ‘জার্মানির এই জাহাজগুলি পরিবেশে বড়সড় বিপর্যয় তৈরি করে গিয়েছে যা প্রাহোভোর মানুষের জন্য একটি হুমকি।’

জার্মানি, ইটালি এবং ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য অংশে মাসের পর মাস খরা এবং রেকর্ড পরিমাণে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে নদীর জল শুকিয়ে নাব্যতা কমেছে। ফলে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সার্বিয়া কর্তৃপক্ষ দানিয়ুবের নৌযান চলাচল সচল রাখতে পলি খনন করার পদ্ধতি নিয়েছেন।

পেলোসির সফর ঠেকাতে বাইডেনকে বলেছিলেন শি পেলোসির সফর ঠেকাতে বাইডেনকে বলেছিলেন শি

কয়েকটি জাহাজ প্রাহোভোতে দানিয়ুবের এই প্রসারিত অংশকে ১৮০ মিটার থেকে ১০০ মিটারে (৩৩০ ফুট) সংকুচিত করেছে। নদীর তীরে ছড়িয়ে থাকা, কিছু জাহাজে এখনও বুরুজ, কমান্ড ব্রিজ, ভাঙা মাস্তুল ইত্যাদি জিনিস রয়েছে। তবে বেশিরভাগ জাহাজই বালিতে ডুবে রয়েছে।

মার্চ মাসে সার্বিয়ান সরকার এই জাহাজগুলি উদ্ধার করে গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক অপসারণের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করেছিল, যার খরচ আনুমানিক দুই কোটি ৯০ লাখ ইউরো। এদিকে খরার কারণে নদীর জলস্তর শুকিয়ে যে জাহাজগুলি চোখে পড়ছে, সেগুলি নিয়ে শঙ্কাও বাড়ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top