সিডনী শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


ইস্তফা দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউসি


প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২২ ০৪:১৩

আপডেট:
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৪৩

 

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন চাকরির পর ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টার পদে আছেন তিনি। গতকাল স্থানীয় সময় সোমবার ফাউসি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরেই তিনি সরকারি পদ থেকে সরে যাবেন।

তিনি আরো জানিয়েছেন, আমি আমার কর্মজীবনের পরবর্তী অধ্যায়ে পা দেওয়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সরকারি সবগুলো পদ ছেড়ে দেব। এই ভূমিকাগুলো আমার কাছে আজীবনের সম্মান। সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও আমি অবসর নিচ্ছি না।

এর আগে বহু সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিলেও, কভিড-১৯ মহামারির সময় মার্কিন সরকারের এই শীর্ষ সংক্রামক-রোগ বিশেষজ্ঞের নাম বিশ্বব্যাপী প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়।

অনেকেই মনে করেন, ডা. ফাউসির সব পরামর্শ যদি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেনে নিতেন, তাহলে করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা এতটা খারাপ হতো না। অন্যদিকে ট্রাম্প সমর্থকরা আবার ফেস মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখার মতো ডা. ফাউসির জারি করা বিধিগুলোর তীব্র বিরোধী। তাদের পক্ষ থেকে শেষ কয়েক বছরে পক্ষপাতমূলক সমালোচনা শুনতে হয়েছেন ডা. অ্যান্টনি ফাউসিকে।

৮১ বছর বয়সী এই ভাইরোলজিস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টার পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে আছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকটিয়াস ডিজিসেস’-এর ডিরেক্টর এবং এনআইএআইডি ল্যাবরেটরি অব ইমিউনোরেগুলেশন’-এর প্রধানের পদে রয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়া ছাড়াও, এর আগে তিনি এইচআইভি বা এইডস এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে ডা. ফাউসির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে পরিচয় থাকুক বা না থাকুন, তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে সব মার্কিনির জীবনকে স্পর্শ করেছেন। তার জনসেবার জন্য আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র আরো শক্তিশালী, আরো স্থিতিস্থাপক এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top