সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


কর্নাটকে হিজাব ইস্যু : ‘খণ্ডিত রায়ে’ উচ্চতর বেঞ্চে মামলা


প্রকাশিত:
১৪ অক্টোবর ২০২২ ০১:০৭

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫১

 

ভারতে হিজাব পরিধানের মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের রায় নিয়ে ভিন্নমত সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির। একই মতামতে আসতে পারল না সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছেন।

গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অংশ হিসেবে দেখা উচিত নয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের ধারাবাহিক শুনানির পর ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে নিজেদের রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। বিচারপতি হেমন্ত কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের পক্ষে মত জানিয়ে আবেদন খারিজ করে দেন। তবে সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। হিজাব পরার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।

গত জানুয়ারিতে কর্নাটকের উদুপির একটি প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে কয়েকজন হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়া হয়। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভট্ট স্পষ্ট জানান, হিজাব পরিহিতরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না। একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনও আন্দোলন শুরু করে হিজাব পরিধানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গেও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে পোশাক-নির্দেশিকা জারি করেছিল কর্নাটকের বিজেপি সরকার। কর্নাটক শিক্ষা আইন ১৯৮৩-এর কথা উল্লেখ করে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাক পরেই পড়ুয়াদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। তবে যে সব কলেজে কোনো পোশাকবিধি নেই, সেখানে এমন পোশাক পরা যাবে না যাতে শিক্ষাঙ্গনের ভারসাম্য, ঐক্য এবং শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আদালতে কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, ওই নির্দেশিকার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনো সম্পর্ক নেই। হিজাবের পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে গেরুয়া উত্তরীয়ও।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top