সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


পদত্যাগ করলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন


প্রকাশিত:
১ নভেম্বর ২০২২ ০১:০৬

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:২৫

 

 

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন পদত্যাগ করেছেন। দেশকে বড় ধরনের সংকটের মধ্যে ফেলে রোববার (৩০ অক্টোবর) পদত্যাগ করেন ৮৯ বছর বয়সী সদ্য সাবেক এ খৃস্টান প্রেসিডেন্ট। পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট প্যালেস ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সোমবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের চলমান বিপর্যয়মূলক আর্থিক মন্দা ও বৈরুত বন্দরে মারাত্মক বিস্ফোরণের পর দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ৮৯ বছর বয়সী মিশেল আউন। তবে চলমান এসব সংকটের মধ্যেই পদ ছেড়ে দিলেন তিনি।

মিশেল আউনের পদত্যাগের পর কে এই দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত একমত হতে পারেনি লেবাননের পার্লামেন্ট। সাংবিধানিকভাবে লেবাননের প্রেসিডেন্টের কোনো বিলে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করার, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার এবং কোনো দলকে সরকার গঠনের বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

লেবাননে মিশেল আউন একজন গভীরভাবে বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব। অনেক খ্রিস্টান তাকে পছন্দ করেন। খৃস্টানরা মূলত আউনকে লেবাননের সাম্প্রদায়িক ব্যবস্থায় তাদের রক্ষক হিসাবে দেখে থাকেন।

কিন্তু সমালোচকদের কাছে তিনি দুর্নীতিকে আরও বাড়িয়ে তোলা এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে প্রভাব অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত। ২০১৬ সালে লেবাননের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মিশেল আউন।

সেসময় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যারোনাইট খ্রিস্টান রাজনীতিবিদ সামির গেগা উভয়ের মধ্যকার একটি চুক্তিতে তাকে এই পদে সমর্থন করা হয়েছিল। আর সেই চুক্তির ফলে তৎকালীন নেতৃস্থানীয় সুন্নি রাজনীতিবিদ সাদ আল হারিরি লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছিলেন।

২০১৪ সালের মে মাসে লেবাননের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিশেল সুলাইমান মেয়াদ শেষ হওয়ায় পদত্যাগ করেন। এরপর টানা ২৯ মাস রাষ্ট্র প্রধানহীন অবস্থায় ছিল মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরের শেষে লেবাননের সাবেক সেনাপ্রধান মিশেল আউন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। লেবাননে প্রেসিডেন্ট পদটি খ্রিষ্টানদের জন্য সংরক্ষিত।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top