সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


জার্মানিতে বসবাসরত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম শিথিল করতে চায় দেশটির সরকার


প্রকাশিত:
২৯ নভেম্বর ২০২২ ০২:৫৭

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৪

 

জার্মানিতে বসবাসরত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নিয়ম শিথিল করতে চায় দেশটির সরকার। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অভিবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুবিধাও মিলবে।

অভিবাসীদের নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানির সরকার। এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি খসড়া প্রতিবেদন দিয়েছে।

‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন’‘উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন’

বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী অভিবাসীরা আট বছর জার্মানিতে থাকলে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। খসড়া আইনে সেটি বদলে পাঁচ বছর করা হয়েছে। এমনকি কেউ ‘ইন্টিগ্রেশন বা জার্মান সমাজে একীভূত হওয়ার জন্য বিশেষ দক্ষতা’ অর্জন করলে তিন বছর পরও আবেদন করা যাবে। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব

বর্তমানে জার্মানিতে অভিবাসীদের সন্তানেরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পায় না। নতুন আইন হলে সেখানটায় পরিবর্তন আসতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে দীর্ঘ সময় ধরে আইনগতভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের জার্মানিতে জন্ম নেওয়া সন্তানেরা নাগরিকত্ব পাবে।

এর আগে জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মন্ত্রীরা ফেডারেল সরকারকে দ্রুত এই বিধান চালুর ওপর জোর দেন। গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য লোকাল' জানিয়েছে, অভিবাসীরা যাতে দ্বৈত নাগরিকত্ব পান-সেই সুবিধাও রাখা হচ্ছে। বর্তমানে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সুইস নাগরিকদের এই সুবিধা দেয় জার্মানি।

সরকার গঠনের সময় জার্মানির নাগরিকত্ব ও অভিবাসন আইন পরিবর্তনে ঐকমত্যে পৌঁছায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডি এবং পরিবেশবান্ধব গ্রিন পার্টি ও ব্যবসাবান্ধব এফডিপি। এই তিন দলই চায় অভিবাসীদের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধানসহ বসবাস ও আশ্রয় আবেদনের নিয়মগুলো সহজ করতে।

নিরাপত্তার স্বার্থে চীনা টেলিকমের যন্ত্রাংশে নিষেধাজ্ঞা বাইডেনেরনিরাপত্তার স্বার্থে চীনা টেলিকমের যন্ত্রাংশে নিষেধাজ্ঞা বাইডেনের

তবে এই উদ্যোগের বিরোধিতাও করছেন কোনো কোনো রাজনীতিবিদ। বিরোধী ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)-এর সংসদ সদস্য থর্স্টেন ফ্রাই এই বিষয়ে বিল্ডকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘জার্মান পাসপোর্টকে কোনোভাবেই আবর্জনায় পরিণত করা যাবে না।’

ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়নের রাজনীতিক আন্দ্রেয়া লিন্ডহোলৎস উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, প্রস্তাবগুলি আইনে পরিণত হলে ‘জার্মানিতে বসবাসরত বিদেশিরা ইন্টিগ্রেশন বা একীভূত হওয়ার একটি মহৎ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হবেন।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top