সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


তিনবারেও নতুন মেয়র পেল না দিল্লি, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন


প্রকাশিত:
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:২৯

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৫০

 

ভোট পর্ব মিটে গেছে অনেক দিন আগেই। তার পর থেকে তিনবারের চেষ্টায়ও নতুন মেয়র পায়নি ভারতের দিল্লিবাসী। উল্টো মেয়র নির্বাচন নিয়ে প্রতিবারই পৌরসভায় হাতাহাতিতে জড়িয়েছে আপ এবং বিজেপি। এবার আদালতের নজরদারিতে মেয়র নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল। খুব শীঘ্রই তারা এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করবে বলে জানা গেছে।

এর আগে দুইবার মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু দুই পক্ষের হাতাহাতি, মারামারিতে দুইবারই মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার তৃতীয়বার নির্বাচনের জন্য দুই দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় মেয়র নির্বাচন ঘিরে রাজধানীতে জট রয়েই গেল।

মেয়র নির্বাচনের জন্য প্রথমবার দিল্লি পৌরসভায় অধিবেশন ডাকা হয় ৬ জানুয়ারি। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায় আপ এবং বিজেপি সদস্যদের বিক্ষোভের কারণে। দ্বিতীয়বার অধিবেশন ডাকা হয় ২৪ জানুয়ারি। কিন্তু সেবারও দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির জেরে এই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর পৌরসভার ভোট ছিল। দিল্লি পৌরসভা আইন, ১৯৫৭ অনুযায়ী নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনেই মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে দুই মাস কেটে গেলেও মেয়র নির্বাচন করতে পারেনি পৌরসভা।

৬ জানুয়ারি অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা বাধে আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। এক পর্যায়ে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাকসেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেই অধিবেশনও ভণ্ডুল হয়ে যায়।

গত ডিসেম্বরে হওয়া নির্বাচনে দিল্লি পৌরসভার ২৫০টি আসনের মধ্যে আপ ১৩৪টি এবং বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়েছিল। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাকসেনা আগেই পৌরসভার ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল আপ। এর পরই আপ নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন দিল্লি সরকারকে এড়িয়ে কিভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে তাদের মেয়র নির্বাচনের ভোটাধিকার দিতে পারেন। যা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। সেই জের গড়াল এবার শীর্ষ আদালত পর্যন্ত।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top