সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাজধানী নুসানতারা


প্রকাশিত:
১৪ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪২

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৯

 

 

ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাজধানী জাকার্তা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর। শহরের বায়ু দূষণের মাত্রাও বিপজ্জনক। অস্বাভাবিক বায়ু দূষণ ও জনসংখ্যার চাপ কমাতে নতুন রাজধানী তৈরি করছে দেশটির সরকার। যার নাম নুসানতারা। ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে পরিবেশবিদরা প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব এবং আদিবাসীদের বাস্তুচ্যুতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাকার্তা থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বোর্নিও দ্বীপে তৈরি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার নতুন রাজধানী নুসানতারা।

ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাজধানী জাকার্তা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর।ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাজধানী জাকার্তা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর।

একটি আধুনিক শহর গড়ে তোলার জন্য বন, পার্ক, পরিবেশবান্ধব ভবন, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো সুবিধা করা হয়েছে। নিউইয়র্কের দ্বিগুণ আয়তনের শহরটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্র হবে।

ভূমিকম্পপ্রবণ জনবহুল শহর জাকার্তা দ্রুত সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। এটি নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে নুসানতারা নির্মাণ শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বোর্নিওর ঘন জঙ্গলে রাজধানী স্থানান্তর করা হলে অনেক গাছ কেটে ফেলা হবে।

নিউইয়র্কের দ্বিগুণ আয়তনের শহরটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্র হবে।নিউইয়র্কের দ্বিগুণ আয়তনের শহরটি ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্র হবে।

এতে অনেক প্রাণীর আবাসস্থল ও আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা। শুধু তাই নয়, দ্বীপের আদিবাসীরাও তাদের আবাসস্থল ও সংস্কৃতি বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।

অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ দ্বি সাউং জানান, পশু করিডোরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা ঠিক নয়। প্রথমে পশুদের সরানো উচিত, তারপর কাজ করা উচিত। কিন্তু তারা তাড়াহুড়োয় ছিল, তাই না করেই এলাকা তৈরি করা হচ্ছে।

এতে অনেক প্রাণীর আবাসস্থল ও আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।এতে অনেক প্রাণীর আবাসস্থল ও আবাসস্থল হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা সিবুকদিন বলেন, 'আমাদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ন্যায্য দাম পাইনি। আমরা এই ছিটমহলে থাকতে চাই। আর কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। আশা করি সরকার আমাদের দিকে নজর দেবেন।'

তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, দেশের কল্যাণে এই আধুনিক শহর গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই এটি নির্মাণের সময় সাময়িক সমস্যাগুলো মেনে নিতে স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

সরকার ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে নতুন রাজধানী উদ্বোধন করার পরিকল্পনা করেছে।সরকার ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে নতুন রাজধানী উদ্বোধন করার পরিকল্পনা করেছে।

সরকারি কর্মকর্তা বামবাং সুসান্তো বলেন, 'আমরা কেবল একটি বাসযোগ্য শহরই নয়, ভবিষ্যতের জন্য একটি স্ব-চালিত এবং প্রাণবন্ত রাজধানী তৈরি করছি। আশা করি, আমি তাদের বোঝাতে পারব যে এটি জনস্বার্থে করা হচ্ছে।'

সরকার ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবসে নতুন রাজধানী উদ্বোধন করার পরিকল্পনা করেছে। তবে এটি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হতে ২০৪৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময় লাগবে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top