ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে দ্বন্দ্ব যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের
প্রকাশিত:
৩ মে ২০২৩ ২০:৩৯
আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪২
নরেন্দ্র মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আবার উদ্বেগ প্রকাশ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজর রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মার্কিন সংস্থাটি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জো বাইডেন সরকারকে অনুরোধ করেছে, ভারত সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও সেগুলোর ধর্মীয় স্বাধীনতা ‘গুরুতর লঙ্ঘনে দোষী’ নেতাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক।
পাশাপাশি তাদের বার্ষিক রিপোর্টে ওই সংস্থাটি ভারতকে ‘একটি বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে সুপারিশ করেছে। দু’দেশের দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নটি তোলার জন্যও বলেছে সংস্থাটি।
এর আগেও সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগের কথা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। ২০২০ সাল থেকে ভারত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে একাধিক সুপারিশও করেছে তারা। যদিও ওই সব সুপারিশ মানেনি যুক্তরাষ্ট্র।
সংস্থাটির দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার দ্রুত অবনতি হয়েছে। ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়েছে। এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থার রিপোর্টটি সামনে আসার পরেই দ্রুত এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে দিল্লি। ওই রিপোর্টকে পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করে যাবতীয় বক্তব্য খারিজ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, এত মিথ্যা বিবরণ দিয়ে সংস্থাটি নিজেরাই নিজেদের সুনাম নষ্ট করছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: