সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


৮৫ দেশে ১৬ হাজার কোটি রূপির প্রতিরক্ষা পণ্য বিক্রি ভারতের


প্রকাশিত:
১ জুন ২০২৩ ২১:৪৪

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪০

 

ভারতের প্রতিরক্ষা পণ্য রফতানি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি রুপিতে পৌঁছেছে। যাকে রেকর্ড বলছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি।

৩০ মে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের বেড়েছে ২৩ গুণ। এই মহূর্তে বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা খাতে রফতানি করছে দিল্লি।

বর্তমানে দেশের ১০০টি সংস্থা প্রতিরক্ষা পণ্য রফতানি করছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা রফতানি বৃদ্ধির জন্য মোদি সরকার গত নয় বছরে বেশ কিছু নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে। রফতানির পদ্ধতিকে করা হয়েছে শিল্পবান্ধব।

অনলাইনে সুবিধার ফলে রফতানির অনুমোদন এবং কম সময়ে সহজে ব্যবসার সুযোগ বেড়েছে। দেশীয় নকশা, উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা পণ্য তৈরিতে আরও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রতিরক্ষা পণ্য আমদানির ওপর নির্ভরতা কমেছে।

বিদেশ থেকে প্রতিরক্ষা আমদানিতে ব্যয় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সামগ্রিকভাবে ছিল ৪৬ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশে।

ভারত একসময় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিকারক হিসাবে পরিচিত ছিল। এখন ‘ডর্নিয়ার-২২৮’ এর মতো বিমান, আর্টিলারি বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র, পিনাকা রকেট এবং লঞ্চার, রাডার, সিমুলেটর, সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বিদেশে রফতানি করছে। নিজেদের তৈরি এলসিএ-তেজাস, লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার, এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ও এমআরও প্রযুক্তি মতো দেশীয় পণ্যের চাহিদা বেড়েছে বিশ্বজুড়ে।

এরো ইন্ডিয়া, ২০২৩ এর উদ্বোধনী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রফতানি ৫ মিলিয়ন ডলারে আনা। ভারত শুধু বিশ্বের প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর একটি বাজার নয়, একটি সম্ভাব্য অংশীদার হয়ে উঠবে। আর এই লক্ষ্যে ভারত এগিয়ে চলছে।

কয়েকদিন আগেও প্রতিরক্ষায় বিশ্বের অন্যতম আমদানিকারক দেশের তালিকায় ছিল ভারত। কিন্তু বর্তমানে সেই তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন বিশ্বে ৭৫টি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করছে দিল্লি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর, ২০২২ সালের মার্চ এবং গত আগস্টে ১ হাজার ২৩৮টি সামরিক পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে।

এবার আরও ৯২৮টি সামরিক পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে আমদানি ব্যয় বাঁচবে ৭১৫ কোটি রুপি। দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পখাত থেকে এসব পণ্য সংগ্রহ করা হবে। ১ হাজার ২৩৮টি পণ্যের যে তালিকা করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৩১০টি অভ্যন্তরীণ খাত থেকেই সংগ্রহ করা হচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top