সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় : স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে


প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২৩ ২৩:০২

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯

 

ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ আঘাত হানার সময় ঘনিয়ে এসেছে। তাই ইতোমধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আগে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করেছে গুজরাটের কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই ঘূর্ণিঝড়টি কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বুধবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে পাকিস্তানও।

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, বুধবার সকালের মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং ত্রাণশিবিরে স্থানান্তরিত করা হবে তাদের। দেশটির আবহাওয়া অফিস করাচি, হায়দ্রাবাদ, তান্ডো আল্লায়ার, শহীদ বেনজিরাবাদ এবং সাংঘর জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চল এবং দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পোরবন্দর থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে অবস্থান করছে।

এরই মধ্যে প্রবল বৃষ্টিতে ভারতে সাত মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিপর্যয়ের প্রভাবে ভারতের মুম্বাইয়ের উপকূলে নেমে চার কিশোর ডুবে গেছে। এ ছাড়া ঝড়ের প্রভাবে গুজরাটে প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে ধসে যাওয়া দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আরো তিনজন নিহত হয়েছে।

এদিকে গুজরাট অঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। বৃহত্তম দুটি বন্দর কান্ড এবং মুন্দ্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার গুজরাট উপকূল থেকে ৫০ জন শ্রমিককে সরিয়ে নিয়েছে। জনগণকে সমুদ্রসৈকত পরিদর্শন এড়াতে বলা হয়েছে এবং জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের বেশ কয়েকটি দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীও ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ মজুদও করেছে এবং বেসামরিক প্রশাসন ও এনডিআরএফের সঙ্গে নিজেদের পরিকল্পনাগুলোর সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top