সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


র‌্যাগিংয়ের কারণেই কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু!


প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০০

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৯

 

কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’কে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের নামকরা ওই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।

বুধবার মাঝ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেইন হোস্টেল’-এর তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় মাত্র তিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়া ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ।

ছাত্রটির আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন যে তাকে হোস্টেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল।

কিছু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে কোনো নতুন শিক্ষার্থী এলে তার সাথে পুরনোদের পরিচিত হবার নামে একটি গোপন অনুষ্ঠান করে তাকে নানা উপায়ে দলবদ্ধভাবে হয়রানি করা হয়- এবং একেই বলা হয় র‍্যাগিং।

এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ শুক্রবার রাতে একজনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়া ছাত্রটির মৃত্যুর প্রতিবাদে ক্লাস বয়কট করছেন শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র নেতা-নেত্রীরা বলছেন, হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই প্রকাশ্যে অভিযোগ আনেন না ভয়ে, তাই তারাও জানতে পারেন না যে হোস্টেলগুলোতে ঠিক কীভাবে র‍্যাগিং চলছে।

ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং নিয়ে কড়া আইন আছে। র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ছাত্র বা ছাত্রীকে বহিষ্কার তো করা হয়ই, অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও যাতে তিনি ভর্তি না হতে পারেন, সেই শাস্তিরও বিধান রয়েছে।

কিভাবে মৃত্যু প্রথম বর্ষের ছাত্রটির?
নদীয়া জেলার বগুলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর পরিবারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, মাত্রই গত রোববার তারা তাদের ছেলেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে রেখে এসেছিলেন।

ছাত্রটি দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি টানের কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা অনার্স পড়তে ভর্তি হয়েছিল সে।

ওই ছাত্রের মামা অরূপ কুণ্ডু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'প্রথম তিনদিন সে ক্লাসও করেছিল, কিন্তু বুধবার রাতে ও বাড়িতে ফোন করে জানায় তার খুব ভয় করছে, বাবা-মা এসে যেন দ্রুত তাকে নিয়ে যান।'

তিনি বলেন, 'তার মাকে সে ফোনেই জানিয়েছিল যে অনেক কিছু বলার আছে তার। ওর বাবা-মা বলেছিল একটা রাত কোনোমতে কাটিয়ে দিতে, পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালেই তাকে নিয়ে আসবেন। এরপরে আর চেষ্টা করেও ওর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি। রাতে হোস্টেলেরই এক সিনিয়র স্বপ্নদীপের বাড়িতে ফোন করে জানান যে সে তিনতলা থেকে পড়ে গেছে।'

হোস্টেলের আবাসিকরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

স্বপ্নদীপের বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডু পুলিশকে জানিয়েছেন যে হোস্টেলের কিছু ছাত্রই তার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী। পুলিশ সূত্রগুলো বলছে, তারা হোস্টেলের আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং শুক্রবার রাতে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওই হোস্টেলেই মারাত্মক র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ
স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পরে অর্পণ মাঝি বলে প্রথম বর্ষেরই এক ছাত্র সামাজিক মাধ্যমে একটা মারাত্মক অভিযোগ পোস্ট করেন।

মাঝি স্বপ্নদীপের সাথে একই হোস্টেলে থাকতে শুরু করেছিলেন, যদিও দুজনের বিষয় ছিল আলাদা।

ভূবিজ্ঞান বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া অর্পণ মাঝি লিখেছেন, 'আমার পরিবার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা একটি পরিবার এবং আমি আসানসোলে বড় হয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই আমি ভর্তির সময় হস্টেল এপ্লাই করেছিলাম। জীবনে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হওয়ার পর দুই তিন রাত হস্টেল আমার কাছে বিভীষিকার জন্ম দিয়েছে। আমি এখন অনেক কষ্ট করেই, ধার নিয়ে হলেও মেস খুঁজছি।'

তিনি বলেন, "সমাজের প্রতিটি স্তরে ক্ষমতা প্রদর্শন আছে, কিন্তু যাদবপুর মেইন হস্টেলের কিছু দাদা'ও যে এই একই কাজ করবে তা আমার কল্পনার অতীত। মাথায় একটি স্পেসিফিক ছাঁটের চুল কাটতে বলা, সন্ধ্যে ৬টার মধ্যে হস্টেলে ঢুকতেই হবে, সিনিয়রদের ক্রমাগত ফাইফরমাশ খাটা, সারারাত জাগিয়ে রেখে ইন্ট্রো নেওয়া (শুনতে পারছি যে এখনও আসল ইন্ট্রো নেওয়াই হয়নি)। এগুলো ওই তিন রাত আমার সাথে চলছে, এবং আমি ভীত।"

এরপরে একে একে আরো কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও ছাত্রী আবাসগুলিতে র‍্যাগিংয়ের নামে কিধরণের মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চলে, তার বর্ণনা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে থাকেন।

প্রতিরাতের অত্যাচার
প্রথম বর্ষের ছাত্র অর্পণ মাঝি মেইন হোস্টেলে দিন কয়েক থাকার যে বর্ণনা দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে, তার আরো বিস্তারিত বর্ণনা উঠে এসেছে সায়ন নামের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের সাথে। এই ছাত্রের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় ষাণ্মাসিকের ক্লাস শুরু হওয়ার মাস দেড়েক পরে ৯ এপ্রিল ২০২২ সালে নবীন-বরণের পরে ছাত্রাবাসে গিয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, "খাওয়া দাওয়া মিটলে, আমার রুমমেট তথা একবছরের সিনিয়র এক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দাদার ওপর নির্দেশ আসে আমাকে 'ইন্ট্রো' সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে। 'ইন্ট্রো' সে যা বোঝায়, সেই অনুযায়ী, প্রতিদিন রাত এগারোটা বা বারোটার পর অত্যন্ত স্বল্প-বসনে বিল্ডিং-এর একটি একটি করে দরজা নক করতে হবে আমায়।"

"তারপর সেই ঘরের সিনিয়ররা দরজা খুললে সাবধান পজিশনে দাঁড়িয়ে একটি ফর্ম্যাট মুখস্থ বলতে হবে আমায়। সেটি শুরু হবে আমার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম দিয়ে। তারপর জন্মদিবস। তারপর 'আনুমানিক প্রতিষ্ঠা দিবস (আমার জন্মের সময়ের ন'মাস দশদিন আগের দিনটি হলো এই দিনটি; আশা করি সবাই ইঙ্গিতটি বুঝতে পারছেন)। তারপর প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চতর মাধ্যমিকের গোটা CV । এই ফর্ম্যাটটি শেষ হবে শারীরিক বর্ণনায়। গোটা বক্তব্যে একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করলে হয় উঠবোস, নয় খিলের আঘাত সহ্য করতে হবে হাঁটুর পেছনে,” লিখেছেন সায়ন নামের ওই ছাত্র।

“এই 'ইন্ট্রো'টি চলবে রাত আড়াইটে অবধি। 'ইন্ট্রো' কতদিন দিতে হবে? হোস্টেলের জনৈক সিনিয়রের কথায় যতদিন না আমার পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যটি পর্যন্ত সমস্ত আবাসিক ছাত্রের মুখস্থ হয়ে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহে একদিন সব ঘরের সব সিনিয়রের জলের বোতলে জল ভরে দিতে হবে। চুলে থাকবে মিলিটারি ছাঁট। সন্ধ্যে ছ'টার মধ্যে হোস্টেলে ঢুকে যেতে হবে। এবং ক্লাসের সমস্ত 'মামণির' গল্প তাদের বলতে হবে। পরদিন সন্ধ্যেবেলা আমি হোস্টেল ছাড়ি এই বুঝে যে এইসব আমার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হবে না। বাবার আর্থিক সঙ্গতি বিশেষ না থাকলেও যে করে হোক, যত কষ্টেই হোক একটি মেস/পিজি খুঁজতে হবে আমায়,” সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন সায়ন, যেটি বহু মানুষ শেয়ার করছেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী-আবাসেও ঠিক কীভাবে র‍্যাগিং করা হয়, সেই বর্ণনাও কয়েক জন প্রাক্তন ছাত্রী শেয়ার করেছেন ফেসবুকে।

ছাত্রীদের লেখা ওই সব বর্ণনায় যা উঠে এসেছে, তা যৌন হেনস্থার সামিল বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

এটা আর র‍্যাগিংয়ের ঘটনা নয়, এটা হত্যা
কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চ্যাটার্জী বলছিলেন, 'যেভাবেই র‍্যাগিং করা হয়ে থাক, তা ২০০০ সালে পাশ হওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি আইন অনুযায়ী অপরাধ এবং এর জন্য সর্বোচ্চ দুবছরের সাজা হতে পারে। ভর্তির সময়ে পড়ুয়া এবং তার অভিভাবকদের একটা ফর্ম পূরণ করা বাধ্যতামূলক যে ওই ছাত্র বা ছাত্রী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে র‍্যাগিং-এ যুক্ত থাকবে না।'

তিনি বলেন, 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো স্থান– ক্যাম্পাস, হোস্টেল, মেস কোনো জায়গাতেই র‍্যাগিং বেআইনি আর এরকম ঘটলে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিও দায়ী থাকবেন। এমন যে কোনও ধরণের কাজ, যা ছাত্র বা ছাত্রীটি সাধারণভাবে করে না, তাকে যদি সেটা করতে বাধ্য করা হয়, সেটাই আইন অনুযায়ী র‍্যাগিং।'

'কিন্তু এই ঘটনাটি আর র‍্যাগিং দমন আইনের আওতায় নেই। এখানে একটি ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় এর তদন্ত হবে যে এটি খুন, না অনিচ্ছাকৃত হত্যা অথবা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনা,' বলছিলেন চ্যাটার্জি।

তিনি আরো বলছিলেন, 'এধরণের ঘটনা যারা ঘটাতে পারে, তারা পাষণ্ড। এদের সমাজে ছেড়ে রাখা একেবারেই অনুচিত। এরা এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে হয়তো বিদেশে চলে যাবে। আমি তো মনে করি পুরণো কোনও ঘটনাও যদি সামনে আসে, মামলা করে বিদেশ থেকে টেনে এনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।'

সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রী বা শিক্ষকরা কি কিছুই জানতেন না?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। কিন্তু তা সত্ত্বেও হোস্টেলে কিধরণের র‍্যাগিংয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা কি কিছুই জানতেন না কেউ?

এক অধ্যাপক বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, 'আমরা টের পেতাম যে হোস্টেলগুলোতে র‍্যাগিং হচ্ছে, কিন্তু তা যে এতটা ভয়াবহ, সেটা আন্দাজ করা যায়নি। আসলে হোস্টেলে যারা থাকে, তারা তো কলকাতার বাইরে থেকে মফস্বল শহর বা গ্রামাঞ্চল থেকে আসে, আর তাদের এমনভাবে ভয় দেখানো হয় যে বাইরে কিছু জানাতে তারা সাহস করতে পারে না।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম ছাত্র সংগঠন এআইএসএ-র নেত্রী সায়নী সাহাও বলছিলেন অনেকটা একই কথা।

'আমরা কানাঘুষো শুনতে পাই যে হোস্টেলে র‍্যাগিং হয়। কয়েকটা ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এসেছিল, সেগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্যাম্পাসে তো র‍্যাগিং সেভাবে হওয়ার ঘটনা সামনে আসে নি বা আমাদের কাছে কেউ সরাসরি অভিযোগও জানায় নি হোস্টেলের র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে। আমরা তাই র‍্যাগিং বিরোধী প্রচার করি, লিফলেট বিলি করি, ক্লাস ক্যাম্পেইন করি যাতে র‍্যাগিং হলেই সাহস করে অভিযোগ জানাতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু অভিযোগ না জানতে পারলে ব্যবস্থা নেব কী করে?' বলছিলেন সায়নী সাহা।

অথচ আইন মেনে ভর্তির সময়ে র‍্যাগিং রোধ ফর্ম পূরণ করা বা র‍্যাগিং রোধ কমিটি, ক্যাম্পাসের নানা জায়গায় র‍্যাগিং বিরোধ কমিটির সদস্যদের নাম, ফোন নম্বর সবই দেয়া আছে। যেকোনো ধরণের র‍্যাগিংয়ের শিকার হলেও ওই নম্বরগুলোতে ফোন করতেও বলা আছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায়ের কথায়, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং দমন স্কোয়াড বা ফর্ম পূরণ করার ব্যবস্থা সবই আছে। নীতিগত দিক থেকে কোনও ত্রুটি নেই। কিন্তু সমস্যাটা সেগুলোর বাস্তবায়নের। আমাদের উপাচার্য নেই, তিনটে বিভাগের পূর্ণ সময়ের ডিন নেই, একজন মাত্র প্রো ভাইস চ্যান্সেলর। আবার এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল, কোর্ট (বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ পরিষদ) এগুলিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। এতগুলো ‘নেই’-এর ফলে র‍্যাগিং বিরোধী নীতিগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।“

শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার দল বেঁধে হোস্টেলে গিয়েছিলেন প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মনে সাহস যোগাতে। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম বর্ষের ছাত্রদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করেছে আর বহিরাগত বা সাবেক ছাত্রদের হোস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top