সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


ছাত্রের আবিষ্কার ‘চুরি’ করে সাড়ে ১২ কোটি টাকা কামালেন শিক্ষক!


প্রকাশিত:
৪ মার্চ ২০১৯ ১৪:৪০

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:২৬

ছাত্রের আবিষ্কার ‘চুরি’ করে সাড়ে ১২ কোটি টাকা কামালেন শিক্ষক!

গবেষণা চুরি ও বিক্রির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি-কানসাস সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ ডলার বা সাড়ে ১২ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, এক শিক্ষার্থীর আবিষ্কার চুরি করে নিজে বলে চালিয়েই তিনি ঐ টাকা সংগ্রহ করেছেন।



অধ্যাপকের নাম অসীম মিত্র। চলতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়েছে। তার স্ত্রীও গবেষণাগারের কাজে যুক্ত ছিলেন। অবশ্য অসীম মিত্র বেশ আগেই ওই বিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেছেন।



সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, চোখের একটি ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ন্যানো টেকনোলজি ভিত্তিক যুগান্তকারী একটি আবিষ্কার করা হয়েছিল শিক্ষার্থীর ওই গবেষণায়। তবে অধ্যাপক অসীম মিত্র তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।



বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অসীম মিত্র ওই ওষুধ সংক্রান্ত প্যাটেন্ট নিতে গোপনে দুটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছেন। সম্প্রতি ওষুধটি অনুমোদন পেয়েছে।



বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, যে শিক্ষার্থী ওষুধের ফরমুলাটি আবিষ্কার করেন তার নাম কিশোর চলকার। আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাকে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা।



বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে, তাদের প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে করা কোনো আবিষ্কারের মালিকানা বিশ্ববিদালয়েরই। তবে আবিষ্কারক বাণিজ্যিক প্রাপ্তির এক তৃতীয়াংশ পান। বাকিটা পায় বিশ্ববিদ্যালয়।



অধ্যাপক অসীম মিত্র দাবি করেন, তিনি এই আবিষ্কারটি ব্যক্তিগত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে করেছন। আর শিক্ষার্থী কিশোর চলকার তার সঙ্গে যুক্ত হন প্যাটেন্ট পাবার পর।



মামলা মোকাবিলার জন্য তিনি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top