সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


কানাডিয়ান শত শত শিখের ভারত বিরোধী বিক্ষোভ


প্রকাশিত:
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১০

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৬

 

সোমবার কানাডায় ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের বাইরে শত শত শিখ বিক্ষোভকারী সমাবেশ করেছে। এসময় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি পদদলিত করেছে এবং পতাকা পোড়ানোর এক সপ্তাহ পরে অটোয়া বলেছে যে, একজন বিশিষ্ট শিখ কর্মী হত্যায় নয়াদিল্লি জড়িত রয়েছে।
ভ্যাঙ্কুভারের কাছে জুন মাসে কানাডিয়ান নাগরিক হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যার কথা উল্লেখ করে টরন্টোর শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য জো হোথা বলেছেন, ‘আমরা পাঞ্জাবের বাড়িতে ফিরে যাওয়া নিরাপদ নই, কানাডায় ও আমরা নিরাপদ নই।’
গত সোমবার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে বলেছিলেন, নয়া দিল্লি সম্ভবত শিখ নেতার হত্যার সাথে জড়িত ছিল, যা দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের কূটনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
টরন্টোর আরেক শিখ বিক্ষোভকারী হারপার গোসাল বলেন, ‘এখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংসদে সবকিছু বলেন, তাই কোনো অজুহাত নেই।’
কানাডিয়ান এক শিখ নেতা বলেছেন, ‘ভারতীয়রা সন্ত্রাসী, তারা ভ্যাঙ্কুভারে আমাদের ভাইকে হত্যা করেছে। তাই আমরা ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে প্রতিবাদ করছি।’
অন্যান্য প্রতিবাদকারীদের মতো তিনি খালিস্তানের হলুদ পতাকা বহন করেছিলেন। পাঞ্জাবের শিখরা ভারতের খালিস্তানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার দাবি জানিয়ে আসছে।
মোদির সরকারকে নিন্দা জানাতে টরন্টো ছাড়াও অটোয়া এবং ভ্যাঙ্কুভারেও কয়েকশ’ লোক জড়ো হয়েছিল।
কানাডা হল ভারতের বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম শিখ সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। কানাড়ার জনসংখ্যার দুই শতাংশ ৭৭০,০০০ কানাডিয়ান ২০২১ সালে শিখ ধর্ম প্রচার করে।
ভারত সরকার কানাডার অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে এবং কঠোরভাবে সেগুলি অস্বীকার করেছে।
ভারত তার নাগরিকদের ‘ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধির কারণে’ নির্দিষ্ট কানাডিয়ান অঞ্চলে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে এবং অস্থায়ীভাবে কানাডায় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করে দিয়েছে।
তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। কূটনীতিকদের বহিষ্কার পাল্ট বহিষ্কার করা হয়েছে, যখন ট্রুডো বারবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top