সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুদ্ধবিমান দিয়ে আমাজনে পানি দিচ্ছে ব্রাজিল
প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০১৯ ০৪:২৪
আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৪
প্রভাত ফেরী, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজনের দাবানল নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসার পর দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই শুরু করেছে ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী। গতকাল থেকে দেশটির আমাজন অঞ্চলের রাজ্য রোনডোনিয়ায় জ্বলতে থাকা বনাঞ্চলে যুদ্ধবিমান থেকে পানি ফেলা হচ্ছে।
রোববার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো দেশটির সাতটি রাজ্যের বনাঞ্চলজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া আগুনের সঙ্গে লড়াইয়ে সামরিক বাহিনীকে অভিযানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। ওইসব রাজ্যের স্থাানীয় সরকারগুলো সাহায্যের অনুরোধ জানানোর পর বোলসোনারো এ নির্দেশ দেন বলে তার দপ্তরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বনের ওপরে ছেয়ে থাকা ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় একটি সামরিক বিমান কয়েক হাজার লিটার পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে।
ফ্রান্সে বৈঠকরত জি৭ নেতারা আমাজনের দাবানল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পর এসব পদক্ষেপ নেয় ব্রাজিল। রোববার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, জি৭ দেশগুলো আমাজনের দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ‘প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা’ দিতে একটি চুক্তির প্রান্তে আছে।
২৪ আগস্ট পর্যন্ত ব্রাজিলজুড়ে প্রায় ৮০ হাজার অগ্নিকা- তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৩ সালের পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা বলে জানিয়েছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইএনপিই।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্রাজিল সরকার তেমন কিছু করছে না, বিশ্বব্যাপী এমন সমালোচনার মুখে শুক্রবার সামরিক বাহিনী নামানোর ঘোষণা দেন বোলসোনারো।
ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় আমাজন এলাকায় ৪৪ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। কিন্তু রোনডোনিয়া রাজ্য ছাড়া অন্য কোথায় কতো সেনা ব্যবহার করা হবে এবং তারা কী করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী সের্গিও মোরো আগুনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য সামরিক পুলিশের একটি বাহিনীকে ক্ষমতা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের ৩০ জনের একটি দলকে রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে রোনডোনিয়া রাজ্যের প্রধান শহর পোর্তো ভেলহোতে পাঠানো হচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজন বিপুল পরিমাণ কার্বন সঞ্চিত রেখে বৈশ্বিক উষ্ণতার গতি খানিকটা শ্লথ রেখেছে। ৩০ লাখেরও বেশি প্রাণপ্রজাতি এবং উদ্ভিদের পাশাপাশি ১০ লাখ আদিবাসী মানুষের এ আবাসস্থালটি ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ নামেও পরিচিত।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: