সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


ব্রেক্সিটে সময় চেয়ে ইইউকে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠালেন জনসন


প্রকাশিত:
২০ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৩১

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৫২

ব্রেক্সিটে সময় চেয়ে ইইউকে স্বাক্ষরবিহীন চিঠি পাঠালেন জনসন

প্রভাত ফেরীআন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রেক্সিটের জন্য আরও সময় চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অনুরোধ করে পাঠানো তার ওই চিঠিটি ছিল স্বাক্ষরবিহীন।



ওই চিঠির সঙ্গে আরও একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জনসন। সেটায় স্বাক্ষর করা ছিল। এতে তিনি বলেছেন, বেক্সিট বিলম্বিত করাকে তিনি একটি ভুল বলে মনে করেন। রোববার সকালে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।



এতে আরও বলা হয়েছে, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বা ব্রেক্সিট কার্যকর করার সময় পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া চিঠির সঙ্গে আরেকটি চিঠিও দিয়েছেন জনসন। দ্বিতীয় চিঠিতে অবশ্য তার সই ছিল। আর এই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন– ব্রেক্সিট কার্যকরের সময় পিছিয়ে দেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিজের করা ব্রেক্সিট চুক্তি শনিবার পার্লামেন্টের ভোটে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইইউয়ের কাছে এসব চিঠি পাঠান জনসন। ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরের চূড়ান্ত সীমা পেছানোর জন্য ‘মরে গেলও’ তিনি কোনো অনুরোধ করতে পারবেন না বলে এর আগে জানিয়েছিলেন জনসন।



কিন্তু গত মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি



ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে, তিনি ব্রেক্সিট বিলম্বের জন্য পাঠানো চিঠিটি হাতে পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সে বিষয়ে তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।



তৃতীয় যে চিঠিটি জনসন পাঠিয়েছেন সেটি টুইটারে প্রকাশ করেছেন ফিনান্সিয়াল টাইমস ব্রাসেলসের প্রতিনিধি। ওই চিঠিতে জনসন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আমি বলে আসছি এবং আজ পার্লামেন্টকেও বলেছি, আমার দৃষ্টভঙ্গী ও সরকারের অবস্থান হচ্ছে, সময় আরও বাড়ালে যুক্তরাজ্য ও আমাদের ইইউ অংশীদারদের স্বার্থ এবং আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।” 



৩১ অক্টোবরের আগেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মাধ্যমে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আইনগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত করা যাবে, চিঠিতে এ ব্যাপারে নিজের আস্থার কথাও জানিয়েছেন জনসন। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top