সৌদি-রাশিয়া দ্বন্দ্বে বিশ্ব বাজারে তেলের দামে ধস
প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২০ ১৮:১৫
আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:৪৪

প্রভাত ফেরী: রাশিয়ার সঙ্গে সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই তেলের দামে ধস নেমেছে। বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ, সৌদি আরব এপ্রিল মাসে তেলের উৎপাদন আরও বাড়ানোর ঘোষণায় সোমবার অপরিশোধিত তেলের দাম পড়ে গেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
এতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ০৬ মার্কিন ডলার প্রতি ব্যারেল। যা দেশটির গত চার বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। আর ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৩ দশমিক ৩৩ ডলারে। বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শেয়ারবাজার নিম্নমুখী। এরই মধ্যে তেলের দাম কমায় আরও ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে। সোমবার এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোতে সূচক আগের চেয়ে আরও নিম্নমুখী।
শুক্রবার অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এক আলোচনা সভায় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠনের (ওপেক) সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় রাশিয়ার। করোনাভাইরাসের কারণে ক্রমশ নিম্নমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক, যাতে সম্মত হয়নি রাশিয়া। শুক্রবার ওপেক ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার পরই তেলের দাম কমে ১০ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের কারণে ক্রুড অয়েলের চাহিদা আগেই নিম্নমুখী ছিল। এরই মধ্যে সৌদি আরবের সিদ্ধান্তে তেলের বাজার আরও নিম্নমুখী হলো। আগামী এপ্রিল মাসে তেল বিক্রির দর ৬-৮ মার্কিন ডলার কমিয়েছে দেশটি। মার্কেট শেয়ার বাড়ানো ও রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর জন্যই দেশটি এ কাজ করেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়ার তেলের উৎপাদন না কমানোর সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানও। তেলের দাম কমায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার এ আক্রমণ কার্যকর হবে না যদি না দীর্ঘদিনের জন্য তেলের দাম কম থাকে।
২০১৪-১৬ সালে তেলের দাম কমায় কয়েক ডজন তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে যায় এবং লাখো কর্মী চাকরি হারায়। সে সময় তেলের বাজারে শক্তিশালী হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের তেল ইন্ডাস্ট্রি। তারপর বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হয়ে ওঠে তারা।
সূত্র: সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: