সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


মর্মান্তিক - দিল্লীতে একই পরিবারের ১১ টি মৃতদেহ


প্রকাশিত:
১ জুলাই ২০১৮ ১৭:০২

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩১

মর্মান্তিক -  দিল্লীতে একই পরিবারের ১১ টি মৃতদেহ

দিল্লীর  বুকে মর্মান্তিক দৃশ্য। একটি ঘরের মধ্যে সারবন্দি ১১টি দেহ একই পরিবারের। কারও দেহ ঝুলছে, কারও দেহ চোখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ঘরের মেঝেতে। দিল্লির বুরারির এই ঘটনা শিউরে ওঠার মতোই। এই রহস্যমৃত্যু কি খুন, না আত্মহত্যা? সেই প্রশ্নই উঠে পড়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন, এই মৃত্যু যে কারণেই হোক, তার মোটিভ কী?



৭ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষের দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। সেই প্রশ্ন গুলিরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ১১টি দেহ, একসঙ্গে একঘরে। ১০টি দেহ ঝুলছে সিলিং থেকে। এক ৭৫ বছরের বৃদ্ধার দেহ চোখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে।



চোখ-মুখ বাঁধা, কারও হাত-পাও বাঁধা, তা দেখেই সন্দেহ এটি খুন হতে পারে। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হতে পারে দেহগুলি। আবার একসঙ্গে আত্মহত্যাও করতে পারে তাঁরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতদের মধ্যে দুই ভাই ভূপিন্দর ও ললিত সিংয়ের মুদি দোকান ও প্লাইউডের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ছ-টার সময় দোকান খোলেন তাঁরাষ এদিন বেলা হয়ে যাওয়াতেই সন্দেহ হয়। তারপর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির প্রধান ফটক খোলা। ঘরটি ভিতর থেকে বন্ধ। জানালা দিয়ে দেখা যায় বাড়ির সদস্যরা একই ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার রাজেশ খুরানা ঘটনাস্থলে যান। খুন ও আত্মহত্যা দুই দিক থেকেই তদন্ত চালানো হচ্ছে।



এই ঘটনায় একমাত্র গৃহকর্ত্রী ৭৫ বছরের নারায়নার মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধে। ৬০ বছরের প্রতিভা, ৩০ বছরের প্রিয়াঙ্কা, ৪৬ বছরের ভূপি, ৪২ বছরের সবিতা, ২৪ বছরের নীতু, ১৮ বছরের মিনু, ১২ বথরের ধ্রুব, ৪২ বথরের ললিত, ৩৮ বছরের টিনা ও ১২ বছরের শিবমের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। পুলিশ কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। পুলিশ অন্য কারণও খতিয়ে দেখছে। রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top