সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


সরকার বাঁচাতে অভিবাসন নীতি থেকে সরে এলেন মার্কেল


প্রকাশিত:
৪ জুলাই ২০১৮ ১৫:২৪

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০৬

সরকার বাঁচাতে অভিবাসন নীতি থেকে সরে এলেন মার্কেল

শেষপর্যন্ত টিকে গেলো জার্মান সরকার। আপাতত জার্মানির জোট সরকার ও দুই রক্ষণশীল দলের জোট অস্তিত্বের সংকট থেকে রেহাই পেল। সোমবার রাতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার তাদের সংঘাত মিটিয়ে নিলেন। জার্মানির সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর দাবিতে অটল থাকার পর বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা সেহোফার শেষপর্যন্ত এক আপোষ মীমাংসা মেনে নিলেন। খবর ডয়েচে ভেলে’র।



তবে ‘ঐকমত্য' সত্ত্বেও মার্কেল ও সেহোফার একসঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে এলেন না। সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে সেহোফার বলেন, তিনি পদত্যাগ না করে মন্ত্রী থেকে যাচ্ছেন।



সোমবারের বোঝাপড়ার আওতায় বাভেরিয়া-অস্ট্রিয়া সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের কিছু অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রে আটক রাখা হবে। তারপর অস্ট্রিয়ার সম্মতি পেলে তাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।



উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়া আগেই জার্মানির সীমান্ত থেকে বিতাড়িত শরণার্থীদের গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। জার্মানিতে সোমবারের বোঝাপড়ার পরেও অস্ট্রিয়া সীমান্তে সুরক্ষার উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ অবৈধ শরণার্থীদের শনাক্ত করে সীমান্তে এমন কেন্দ্রে আটক রাখলেও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছাড়া তাদের সেই দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না, যেখানে তারা নিজেদের নথিভুক্ত করেছিল।



 



এদিকে গত কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতা এই মুহূর্তে দূর হলেও আরও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। প্রথমত জার্মানির বর্তমান জোট সরকারে ৩টি শরিক দল রয়েছে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে মার্কেল-সোহোফার সংঘাতের সময়ে এসপিডি দল প্রায় নীরব ছিল। এবার এই ‘সমাধানসূত্র' কার্যকর করতে হলে এসপিডি দলেরও সম্মতির প্রয়োজন। অথচ ২০১৫ সালে ঠিক একই প্রস্তাব নস্যাৎ করে দিয়েছিল এসপিডি।



অন্যদিকে সেহোফার এ যাত্রা নিজের মুখরক্ষা করতে পারলেও তার সঙ্গে চ্যান্সেলর মার্কেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। সোমবার দুপুরেও সেহোফার গর্জে উঠে বলেছিলেন, যাকে আমি চ্যান্সেলর বানিয়েছি, সেই আমাকে বরখাস্ত করবে! তাই সরকারের বাকি সময় দুই নেতা কীভাবে একসঙ্গে কাজ করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top