সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ১৩ জনই উদ্ধার, স্বস্তির নিঃশ্বাস থাইল্যান্ডে


প্রকাশিত:
১০ জুলাই ২০১৮ ১৪:৩৯

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৫০

রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ১৩ জনই উদ্ধার, স্বস্তির নিঃশ্বাস থাইল্যান্ডে

অবশেষে ১৮ দিনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার সমাপ্তি ঘটল। থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া কিশোর ফুটবল দলের ১২ সদস্য ও তাদের কোচকে আজ মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ তৃতীয় দিনের অভিযান শেষে গুহার গভীরে আটকা পড়া ফুটবল দলের সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলো থাই ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দল।



ডেইলি মেইলের এক খবর বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে সর্বশেষ চার কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। উদ্ধার করা কিশোরদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ১১ বছর বয়সী চ্যানিন উইবোনরানগুরুং আছে। তার ডাক নাম টাইটান।



বিবিসি জানায়, আজ তৃতীয় দিনের মতো শিশুদের উদ্ধারকাজে ৯০ জন ডুবুরি থাম লুয়াং গুহায় প্রবেশ করেন। রবিবার ও গতকাল সোমবার মোট আটজনকে থাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়। পুরো উদ্ধার-প্রক্রিয়ায় ৯০ জনের একটি ডুবুরি দল কাজ করছে। তাদের মধ্যে ৪০ জন থাইল্যান্ডের। অন্যরা বিদেশি।



তারা কেন গুহার ভেতরে গিয়েছিল



এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। ১২ জন কিশোর ফুটবলার তাদের টিমের কোচসহ গুহার ভেতরে গিয়েছিল শনিবার, ২৩ জুন।



বিবিসি বলছে, কিশোর ছেলেরা ফুটবল প্র্যাকটিস করতে সকাল দশটার দিকে ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিল। তারপর তাদের সহকারী কোচ একাপোল ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে।



থাম লুয়াং-খুনাম নাঙ্গনন ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মী দুপুর তিনটার দিকে লক্ষ্য করেন যে গুহার প্রবেশ-মুখের সামনে ১১টি সাইকেল রাখা আছে।



তখন তারা অনুসন্ধান করতে শুরু করেন। তারপর ওই কিশোরদের একজনের পিতামাতাও ন্যাশনাল পার্কের কর্মকর্তাদের জানান যে তারাও তাদের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না।



পরদিন ২৪ জুন শনিবার পার হয়ে রবিবার সকাল একটা থেকে তাদের খোঁজার কাজ শুরু হয়। শনিবার রাতে সেখানকার পুলিশকে বাচ্চাদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অবহিত করার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়।



স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, প্র্যাকটিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুটবলের দলের একজন সদস্যের জন্যে সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।



ওই দলের একজন সদস্য যে বাকি বাচ্চাদের সঙ্গে গুহার ভেতরে যায়নি, তিনি জানান যে এর আগেও তারা আরো তিনবার গুহার ভেতরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির মৌসুমে কখনো তারা গুহার ভেতরে যায়নি।



কীভাবে আটকা পড়লো ভেতরে



স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ফুটবল দলটি গুহার ভেতরে ঢোকার পর থেকেই প্রচুর বৃষ্টি হতে শুরু করে। সেখানে জমে যাওয়া জঙ্গলের পানিও ঢুকে যায় গুহার ভেতরে। পানি এতো বেড়ে যায় যে এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গুহায় প্রবেশের মুখও।



গুহার ভেতরে পানির উচ্চতা খুব দ্রুত বেড়ে গেলে কোচসহ কিশোর ফুটবলাররা ভেতরে আটকা পড়ে যান। আরো উঁচু জায়গা খুঁজতে খুঁজতে তারা চলে যান গুহার আরো গভীরে।



এই থাম লুয়াং গুহা ১০,৩১৬ মিটার লম্বা এবং থাইল্যান্ডে যতো গুহা আছে, দৈর্ঘ্যের বিচারে এটি চতুর্থ।



৭ জুলাই স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারী গুহার ওপরের পাহাড়ে এমন একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন যা দিয়ে বাচ্চারা যেখানে আছে সেখানে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। তখন নতুন করে আশার সৃষ্টি হয় যে বাচ্চাদের হয়তো এই সুড়ঙ্গ দিয়ে বের করে আনা সম্ভব হতে পারে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top