সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

কন্যাদান (অনু গল্প) :উজ্জ্বল সামন্ত


প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০২০ ২২:৫৪

আপডেট:
২৪ নভেম্বর ২০২২ ০৫:১০

 

কন্যাদান

কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। নিজের চোদ্দ বছরের মেয়ের বিয়ে হল ৪০ উর্ধ্ব পাত্রের। হতদরিদ্র সংসার। বাল্যবিবাহ অন্যায়, আইন বিরুদ্ধ জেনেও গোপনে। 

ফুলশয্যার পরের দিন ভোরে খবর এল পরানের বাড়িতে, মেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে । ডাক্তার জবাব দিয়েছেন। স্বামীর পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার। পরান মাথা চাপরে কি করবে ভেবে পায় না। ভাগ্যকে দোষারোপ করতে করতে মেয়ের কাছে যায়। শেষ নিঃশ্বাস এর আগে ফিসফিসিয়ে বলে, বাবা! আমি তোমার কাছে এতটা বোঝা হয়েছিলাম?

 

মনস্তাপ

অর্ধেন্দু বাবুর আজকের দিনটা শ্বশুড়বাড়িতে আসেন নিজের পরিবারের সবার অলক্ষ্যে । রজনীগন্ধার মালা নিয়ে। স্ত্রীর ২৫ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে ছবিতে সযত্নে নিজের হাতে বাঁটা চন্দনের ফোঁটা পড়িয়ে, ধূপ জ্বালিয়ে বেশ কয়েক ঘন্টা নীরবে বসে আছেন। অনুশোচনার আগুনে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। বন্ধ্যা স্ত্রীকে প্রেমিকার ফুসমন্ত্রে ছেড়ে চলে আসার দিনই সরলা আত্মহত্যা করেন। স্ত্রীর ফোন : হ্যাঁ গো, কোথায় তুমি? এতক্ষণ হয়ে গেল বাড়ি ফিরলে না! অর্ধেন্দু: দেরী হবে, ফিরব! স্ত্রী: কেন? অর্ধেন্দু: বাকরুদ্ধ ।

 

উজ্জ্বল সামন্ত
কবি ও লেখক, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top