জয়পুরহাটে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়: লণ্ডভণ্ড ৪০ গ্রাম, নিহত ৪
প্রকাশিত:
২৭ মে ২০২০ ২২:০২
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৫:১০

প্রভাত ফেরী: জয়পুরহাটে টর্নেডোয় প্রায় ৪০ গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে। দেয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মুরগীর সেড ভেঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার মুরগী মারা গেছে। প্রায় দুই হাজার বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। শত শত গাছ ও বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি ওপড়ে গেছে। গতকাল রাত সাড়ে দশটার পর থেকে জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
নিহতরা হলেন- জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌর এলাকার খলিশাগাড়ী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের জয়নাল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৭), তাদের দুই ছেলে নেওয়াজ মিয়া (৭)ও নিয়ামুল হোসেন (৩) এবং পার্শ্ববর্তী কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের মৃত ছালামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৭০)।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর জেলায় প্রবল বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের তিন জন এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। এছাড়া সদরসহ কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের দুই হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় মুরগির খামারের সেড ভেঙে ৪০ হাজার মুরগি মারা গেছে।
দুই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী থাকে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড বেগে ঝড়। এতে বাতাসের তীব্রতায় মুহূর্তেই বাড়ির টিনের চালা উড়ে যায়। উপড়ে গেছে কয়েক হাজার গাছ, ভেঙ্গে গেছে এ দুই উপজেলার শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রচন্ড বাতাস আর বৃষ্টিতে মাঠের পর মাঠ জুড়ে বোরো ধান কাদা-পানিতে একাকার হয়েছে। রাতের ঝড়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, এত বড় ঝড় আগে কখনও দেখিনি। ঝড়ের সময় কতবার আল্লাহকে স্মরণ করেছি তা আমার মনে নেই। ওই সময় বারবার মনে হয়েছে আর বোধ হয় আমরা কেউ বাঁচবো না। ঝড়ের তাণ্ডবে গোটা গ্রামের বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে’।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: