শ্রম আদালতে তলব ড. ইউনূসকে
প্রকাশিত:
১৪ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:৫৭
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৬

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: শ্রম আইনের বিধান না মানার অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম বিবাদীদের বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলা আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।
মামলার অপর বিবাদীরা হলেন- গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপমহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকর। আদালতের সেরেস্তাদার জামাল উদ্দিন সাংবাদিকেদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি একই আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী গত বছরের ১০ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশনস পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা ১০টি বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন।
বিধিগুলো হলো
১. বিধি মোতাবেক শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বহি দেওয়া হয়নি।
২. বিধি মোতাবেক শ্রমিকের কাজের সময় এর নোটিস পরিদর্শকের নিকট হতে অনুমোদিত নয়।
৩. কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল করেনি।
৪. কর্মীদের বছরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না।
৫. কোম্পানির নিয়োাগবিধি মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
৬. ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড-রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয় না।
৭. কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫ শতাংশ শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না।
৮. সেফ্টি কমিটি গঠন করা হয়নি।
৯. কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেননি এবং
১০. কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেনি।
এর আগে গত বছরের ৩০ এপ্রিল বাদীপক্ষের এক পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে ত্রুটিগুলো সংশোধনের নির্দেশনা দেন। এরপর ৭ মে ডাকযোগে এ বিষয়ে বিবাদীপক্ষ জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। পরে ২৮ অক্টোবর বর্তমান পরিদর্শক আবারও তা অবহিত করেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিবাদীরা ফের সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু সময় অনুযায়ী তারা জবাব দাখিল করেননি। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বিবাদীরা শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
বিষয়: ড. ইউনূস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: