প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির দায়ে ঢাবি থেকে ৬৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত:
১৫ জানুয়ারী ২০২০ ২১:৫৫
আপডেট:
১৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৩:০১

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির দায়ে ৬৩ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার ঘটনায় দুজনকে ছয় মাস, মুহসীন হলের অস্ত্র মাদকের ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মীকে এবং বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই ও আদালতে মামলা হওয়ার কারণে ১৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক বৈঠকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী সিনেট অধিবেশনে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি জানান, সভায় অভিযুক্ত আরও ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। আগামী সাত দিনের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত বছর বিভিন্ন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অপরাধে ১২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেওয়া হয়। অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি এ ঘটনায় তদন্ত করে।
আসামিদের মধ্যে ৮৭ জনই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে জড়িত ১৫ জনকে গত ২৯ আগস্ট আজীবন বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ। আর ৬৩ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শাতে নোটিস দেওয়া হয়। জানা গেছে, এর মধ্যে ৪৬ শিক্ষার্থী নোটিসের জবাব দেয়। বাকিরা আত্মপক্ষ সমর্থন করেনি। আত্মপক্ষ সমর্থন না করা এবং জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ৬৩ জনকেই স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির দায়ে সর্বমোট ৮৭ অভিযুক্তের মধ্যে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ জন। আর বাকি নয়জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের সহযোগী। তারা বিভিন্ন কাজে ক্যাম্পাসে আমাদের সহায়তা করে। তাদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অভিযোগকারীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিভিন্নভাবে তদন্ত করি। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এতে দুজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের আমরা ছয় মাস করে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: