মাঠ, গরু আর রাখালের কাব্য : সোমের কৌমুদী
প্রকাশিত:
১ জুন ২০২০ ২৩:০২
আপডেট:
১ জুন ২০২০ ২৩:৩৪

প্রায় শুষ্ক বিজন মাঠে একাকী হেঁটে চলে
লালচে গরুটা একটু কচি ঘাসের লোভে
ঘাস খোঁজে সে, সবুজ ঘাস – নিজের জন্য।
মাঠ তাকে ডাকুক আর নাই বা ডাকুক
প্রতিদিন মাঠে আসে, ঘাস – সবুজ ঘাসের জন্য।
বোঝে না সে মাঠের কষ্ট।
মাঠের প্রান্তে সারি সারি বৃক্ষের শাখের সবুজ পাতা
দোল দিয়ে যায়, ঈশারায় ডাকে লালচে গরুটাকে।
সবুজ ঘাস খোঁজা গরু দেখে না সবুজ পাতার ঈশারা
হেঁটে চলে এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত, মাঠের বুকে
মাথা নিচু,দৃষ্টি ঘাসে; গাছের পাতা থেকে যায় অদৃষ্ট।
বোঝে না সে বৃক্ষের কষ্ট।
গাছের নিচে ছায়ায় বসে রাখাল বাজায় বাঁশি
সুর ছড়িয়ে পড়ে মাঠ পেরিয়ে নদীর বুকে
নদীর বুকেও সুর জাগে, বয়ে চলা ঢেউয়ের তালে।
নদীর দু’তীর, বনের সারি সারি সবুজ বিমোহিত সুরে
রাখালের চোখের জল বাঁশিতে পড়ে সুর হয়ে উঠে প্রাণবন্ত।
বাঁশি জানে না রাখালের কষ্ট।
বাঁশির সুর থামলেও থেকে যায় সুরের রেশ
পৃথিবীর বুকে সেদিনের সূর্যের ধ্রুপদী নাচন শেষে
অবসন্ন পড়ন্ত দুপুরের লগন ধীর পায়ে মাঠে নেমে আসে।
লালচে গরুর উদর পূর্তি, গাছের ছায়ায় বসে
জাবর কাটে; লালা ঝরে জিভে –চোখে পাতার সবুজ দৃশ্য।
বোঝে না সে পাতার কষ্ট।
বিষয়: সোমের কৌমুদী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: