শেষ ওভারের নাটকীয় জয়ে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২২:০৮
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:২৯

প্রভাত ফেরী: বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বেঁধে দেওয়া ৩০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন ৭৩/৫ হয়ে যায়, প্রায় সবাই তাদের সমাধি দেখে। কিন্তু এই ‘প্রায়’ শব্দটির মধ্যেও কিছু মানুষের আশা বেঁচে থাকে। কারণ যারা রান তাড়া করছিল, পাঁচ পাঁচবার বিশ্ব জয়ের মুকুট তারা মাথায় পরেছে। তা গভীর রাতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আশাবাদীদের নিরাশ করেনি। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনায় ৩ উইকেটে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
অথচ অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল একেবারেই নড়বড়ে। ৭৩ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছিল ৫ উইকেট। সেখান থেকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও আলেক্স চ্যারি জুটি বেঁধে দলকে জেতান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন রেকর্ড ২১২ রান তুলে জয় হাতের নাগালে নিয়ে আসেন।
ম্যাক্সওয়েল ৯০ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ১০৮ রান করে আউট হন। আর চ্যারি ১১৪ বল খেলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৬ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১০ রান। মিচেল স্টার্ক আদিল রশিদকে প্রথম বলে ছক্কা ও এরপর চার হাঁকিয়ে দুই বল আগেই জয়ের বন্দরে দলকে পৌঁছে দেন। বল হাতে ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও জো রুট ২টি করে উইকেট নেন।
তার আগে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরি (১১২) এবং স্যাম বিলিংস (৫৭) ও ক্রিস ওকসের (৫৩) হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০২ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করে ৭ উইকেট হারিয়ে।
দলকে জেতানো ছাড়াও দর্শকদের মন অন্য একটা কারণে জিতে নিয়েছেন স্টার্ক। এ দিন সুযোগ পেয়েও রশিদকে মাঁকড়ীয় আউট করেননি এই বাঁ-হাতি পেসার। ৪৯তম ওভারে নন-স্ট্রাইকার রশিদ ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও বোলার স্টার্ক তাঁকে আউট করেননি। বরং থেমে গিয়ে রশিদকে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। মাথায় চোট লাগা স্টিভ স্মিথকে এই ম্যাচেও বিশ্রাম দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন স্টার্ক এবং অ্যাডাম জাম্পা। এই লেগস্পিনারের ফর্ম নিশ্চয়ই আশ্বস্ত করবে বিরাট কোহালিকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে রয়েছেন জাম্পা। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: