আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার কলকাতার
প্রকাশিত:
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:০৬
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৪:৩০

প্রভাত ফেরী: চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে শুরুটা ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতো করতে পারেনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে ঘুরে দাঁড়াতে একদমই সময় নেয়নি তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই উড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে, পেয়েছে প্রথম জয়ের দেখা।
রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডব ও জাসপ্রীত বুমরাহ-দীপক চাহারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারালো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল ২০২০ এর ৫ম ম্যাচে মুম্বাই জয় পেয়েছে ৪৯ রানে। আর কলকাতা তাদের প্রথম ম্যাচেই বাজেভাবে হেরেছে। নামকরা বোলার হোক, বা বিশ্বখ্যাত ব্যাটসম্যান, এ দিন কেউ জ্বলে উঠতে পারেনি কেকেআরের হয়ে। ফল, বিশাল ব্যবধানে হার।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভার ৯ উইকেটে ১৪৬ রান তুলেছে কলকাতা নাইটরাইডার্স৷ ম্যাচে তারা একবারের জন্যও ফিরতে পারেনি৷ ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই নাইটদের টেক্কা দিয়ে সহজ জয় তুলে নিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স৷ এই জয়ের ফলে আইপিএলের ইতিহাসে কেকেআরের বিপক্ষে ২৬ বারের দেখায় ২০ বার জয় পেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স৷ প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার দিয়ে ২০২০ আইপিএল শুরু করলেও এদিন জিতে আত্মবিশ্বাস বাাড়িয়ে নিল রোহিত শর্মারা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। এরপর বাইশ গজে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মুম্বাইর অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ৫৪ বল খেলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় করেন ৮০ রান। ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ৯০ ও সৌরভ তিওয়ারিকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রান তোলেন। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তোলেন আরো ৩০ রান। তাতে বড় সংগ্রহ পায় মুম্বাই।
১৯৫ রান তাড়া করতে গিয়ে মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরেছে শাহরুখ খানের দলটি। আর তাদের বোলিংও ছিল এক প্রকার নির্বিষ। ব্যাট হাতে কলকাতার প্যাট কামিন্স সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। মাত্র ১২ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে এই টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক করেন ৩০ রান। এ ছাড়া নিতিশ রানা ২৪, ইয়ান মরগান ১৬ ও আন্দ্রে রাসেল ১১ রান করেন। মুম্বাইর ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও রাহুল চাহার ২টি করে উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন কিরেন পোলার্ড। ম্যাচসেরা হন রোহিত শর্মা।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: