বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশের বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সালমা খাতুন


প্রকাশিত:
৮ এপ্রিল ২০২২ ০০:৪৮

আপডেট:
৮ এপ্রিল ২০২২ ০১:০০


এটা ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর অভিষেক আসরেই জয় দিয়ে নিজেদের ছাপ রাখতে পেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দেখে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও দারুণ লড়াই করে টাইগ্রেসরা। সেদিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অফস্পিনার সালমা খাতুনকে প্রসংশায় ভাসিয়েছিলেন অজিরা। আর টুর্নামেন্ট শেষে আসর সেরা একাদশে স্থান পেলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

নিউজিল্যান্ডে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরদিন (সোমবার) আইসিসি ঘোষণা করে টুর্নামেন্টের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল ইলেভেন।’ আইসিসির প্রতিনিধিসহ ধারাভাষ্যকার ও সংবাদকর্মীদের মিলিয়ে ছয় জনের একটি প্যানেল বেছে নেয় এই একাদশ।

সালমা বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটের প্রায় শুরুর অভিযাত্রী। যাদের হাত ধরে এ দেশের মেয়েদের ক্রিকেট নড়বড়ে ভিত খানিকটা শক্ত হয়েছে এবং এগিয়ে গেছে সামনের পথে, তাদেরই একজন তিনি। দীর্ঘদিন দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই সংস্করণেই।

৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অভিযানেও তিনি দলের সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরমার।

দুর্দান্ত অফ স্পিনে ৭ ম্যাচে সালমার শিকার ১০ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন স্রেফ ৩.৭৯। টুর্নামেন্টে ২০ ওভারের বেশি বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার সালমা খাতুন।

মূলত বোলিংই তাকে জায়গা করে দিয়েছে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে। তাকে রাখা হয়েছে ১১তম সদস্য হিসেবে। তবে তিনি ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন এই আসরে।

সেরা একাদশের অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন শিরোপাজয়ী অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার মেগ ল্যানিং। চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ৪ জন ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছেন সেরা একাদশে। ওপেনার হিসেবে থাকছেন সেমিফাইনাল ও ফাইনালে বিধ্বংসী দুটি সেঞ্চুরি করা ও রেকর্ড রান করে প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট হওয়া অ্যালিসা হিলি। তার সঙ্গে ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট। ৮ ম্যাচের ৫টিতেই ফিফটি পেরিয়ে নান্দনিক এই ব্যাটার করেছেন ৫৪.১২ গড়ে ৪৩৩ রান ।

অধিনায়ক মেগ ল্যানিং তিন নম্বরে, টুর্নামেন্টে তার রান ৫৬.২৮ গড়ে ৩৯৪। ওপেনিংয়ে ব্যাট করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯৭ রান করা র‌্যাচেল হেইন্সকে রাখা হয়েছে চার নম্বরে। ফাইনালে ইংল্যান্ড হেরে গেলেও ১৪৮ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেয়া ও আসরে দুই সেঞ্চুরিতে ৪৩৬ রান করা নাটালি সিভার আছেন পাঁচে।
ছয়ে জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি। টুর্নামেন্টে ১১০ গড় ও ১০০.৯১ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩৩০। বিশ্বকাপে এবার একশ গড় একমাত্র তারই। সাত নম্বরে আছেন হেইলি ম্যাথিউজ। ক্যারিবিয়ান এই অলরাউন্ডার এবার রান করেছেন ২৬০, উইকেট নিয়েছেন ১০টি। বিশেষজ্ঞ দুই পেসার হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন বলের জুটি মারিজান ক্যাপ ও শাবনিম ইসমাইল। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট নিয়েছেন ইসমাইল, ক্যাপের উইকেট ১২টি। ব্যাট হাতেও ক্যাপ করেছেন ৪০.৬০ গড় ও ৯২.২৭ স্ট্রাইক রেটে ২০৩ রান।

স্পিন আক্রমণে সালমার সঙ্গী অনুমিতভাবেই সোফি এক্লেস্টোন। র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর বোলার ইংল্যান্ডের এই বাঁহাতি স্পিনার বিশ্বকাপেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ৯ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে। উইকেটের তালিকায় তার ধারেকাছে নেই কেউ।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top