সিডনী সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১

সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে শতকরা ৯.৭৪


প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৩ ০১:১১

আপডেট:
১৩ মে ২০২৪ ২৩:০৪

 

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের প্রভাব পড়েছে দেশের মূল্যস্ফীতির হিসাবে। বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। জুন মাসে এ হার দাঁড়িয়েছে ৯.৭৩ শতাংশে, যা প্রায় দুই অঙ্ক ছুঁই ছুঁই। এর আগে গত বছরের আগস্টে এ হার দাঁড়িয়েছিল ৯.৯৪ শতাংশে।
এরপর কমতে থাকে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার। এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে।

 

গত মে মাসে মূল্যস্ফীতির এ হার ছিল ৯.২৪ শতাংশ এবং এপ্রিলে ছিল ৮.৮৪ শতাংশ। এরও আগে ২০২২ সালের জুন মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৩৭ শতাংশ।
গ্রাম ও শহর সর্বত্রই ঊর্ধ্বমুখী খাদ্য মূল্যস্ফীতি। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সিপিআই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি হিসাবের প্রধান আইটেমই হচ্ছে চাল। কিন্তু নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। তবে যে সময় বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, সে সময়ই চিনি ও পেঁয়াজের দাম ব্যাপক বেড়ে গিয়েছিল। সম্ভবত সেই দামের প্রভাবটাই পড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে। তবে আশার কথা হলো যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে।
এই নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে স্বস্তি ফিরে আসবে।’

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে জুনে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৭৪ শতাংশে, যা গত মে মাসে ছিল ৯.৯৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সামান্য কমেছে। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি জুনে কমে হয়েছে ৯.৬০ শতাংশ, যা এর আগের মাসে ছিল ৯.৯৬ শতাংশ।

বিবিএসসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চাল, চিনি, তেল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তবে এই বৃদ্ধির হার মে মাসের তুলনায় জুনে কমেছে। এটাকে মূল্যস্ফীতি যে কমেছে, তা সরাসরি বলা যায় না। অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি হয়েছে তবে আগে যে হারে বেড়েছে, সে হারে বাড়েনি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top